পরমাণু চুক্তি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন খামেনেই
২২ মার্চ ২০২১পদক্ষেপটা আগে অ্যামেরিকাকে নিতে হবে৷ ট্রাম্পের আমলে ইরানের উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করতে হবে৷ তাহলেই ইরান পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে পারে৷ জানিয়ে দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই৷
টেলিভিশন ভাষণে খামেনেই বলেছেন, ট্রাম্প চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটা বড় অপরাধ করেছিলেন৷ তিনি বলেছেন, ‘‘ট্রাম্প ভুল পথ নিয়েছিলেন৷ এর ফলে তার দেশেরই বদনাম হয়েছে। ওদের উপরই এখন সব চেয়ে বেশি চাপ তৈরি হয়েছে৷ যদি অ্যামেরিকার বর্তমান প্রশাসন একই পথে চলে, তা হলে সেই নীতিও ব্যর্থ হবে৷’’
ট্রাম্প কী করেছিলেন
ট্রাম্প প্রশাসন ইরান সহ একাধিক দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করে৷ তারা ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকেও বেরিয়ে আসে৷ ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর তেহরানও সিদ্ধান্ত নেয়, ২০১৫-র পরমাণু চুক্তি মানা হবে না৷ তারাও সম্প্রতি প্রচুর পরিমাণে ইউরেনিয়াম মজুত করেছে বলে অভিযোগ৷
২০১৫ সালের চুক্তিতে অ্যামেরিকা ও ইরান ছাড়াও যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীনও সই করেছিল৷ সেখানে বলা হয়েছিল, ইরান তিন দশমিক ৬৭ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে৷ কিন্তু তারা এখন সাড়ে চার শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে৷ ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার পর তারা ২০ শতাংশ ইউরেনিয়াম পরিশোধন করা হবে বলে জানিয়েছে৷
বাইডেন কী করবেন
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জো বাইডেন বলেছেন, তিনি আবার এই চুক্তিতে ফিরতে চান৷ তবে প্রশ্ন হলো এই ব্যাপারে প্রথম পদক্ষেপ কে নেবে?
আইএইএ-র ডিরেক্টর জেনারেল দুই দেশের সঙ্গেই কথা বলছেন৷ তিনি এই মাসের গোড়ায় বলেছিলেন, অ্যামেরিকা এই চুক্তিতে ফিরতে পারে৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘অনেকগুলি বিষয় এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে৷ তবে এটুকুই বলতে পারি, এই চুক্তি বজায় রাখা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়৷’’
ইরান তাড়াহুড়ো করবে না
খামেনেই জানিয়েছেন, ইরান সরকার কোনো তাড়াহুড়ো করবে না৷ নিষেধাজ্ঞার ফলে স্থানীয় স্তরে জিনিসগুলি তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা যে ঘোষণা করেছি, তা যদি অ্যামেরিকা মেনে নেয়, তা হলে সব সমস্যা মিটবে৷’’
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলি খুবই সন্দিগ্ধ৷ তারা মনে করে, ইরান আসলে পরমাণু বোমা তৈরি করতে চাইছে৷ কিন্তু ইরানের দাবি, তাদের পরমাণু প্রকল্প শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্যই৷
জিএইচ/এসজি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)