1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে সামরিক অভিযানে দ্বিধা

১৯ জুন ২০১৪

ইরাকের সেনাবাহিনী সুন্নি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে৷ তবে একার শক্তিতে সাফল্য পাবার আশা কম৷ তাই প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির সরকার মার্কিন সামরিক সহায়তার আশায় বসে আছে৷ ওয়াশিংটন এখনো দ্বিধায় ভুগছে৷

https://p.dw.com/p/1CLus
Obama Treffen mit Kongressführern Situation Irak 18.06.2014
ছবি: Reuters

ইরাকে পেট্রোলিয়াম শিল্পের দিকে নজর পড়ায় এলাকা দখলের লড়াই নতুন মাত্রা পেয়েছে৷ টিকরিট শহরের বাইজি রিফাইনারির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষ চলছে সেনাবাহিনী ও আইসিস জঙ্গিদের মধ্যে৷ আল আরাবিয়া টেলিভিশনের সূত্র অনুযায়ী সেখানে জঙ্গিদের কালো পতাকা উড়ছে৷ তবে তারা এখনো গোটা রিফাইনারি দখল করতে পারে নি৷ কিছু কর্মীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷

আইসিস জঙ্গিদের উপর বিমান বা ড্রোন হামলা চালানোর বিষয়ে মার্কিন প্রশাসন এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না৷ ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে জোরালো বিতর্ক চলছে৷ অনেকে চান, সবার আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নুরি আল-মালিকিকে সরে দাঁড়াতে হবে৷ তারপরই মার্কিন সেনা অভিযান শুরু হতে পারে৷ তবে মার্কিন জাতীয় স্বার্থেই যে আইসিস-এর মোকাবিলা করা উচিত, সে বিষয়ে মোটামুটি ঐকমত্য গড়ে উঠছে৷ আল-কায়েদা-কে ‘নরমপন্থি' অপবাদ দিয়ে যে গোষ্ঠী ইরাক ও সিরিয়ার একটা বড় অংশ দখল করতে চায়, তারা যে একসময় সরাসরি অ্যামেরিকার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷

অতীতে অনেক বার হাত পুড়িয়ে অ্যামেরিকা ও পশ্চিমা জগত এখন আর শুধু সামরিক সমাধানের পথে এগোতে চাইছে না৷ সংকটের পেছনে যে ক্ষোভ কাজ করে, রাজনৈতিক স্তরে তাও যে দূর করা জরুরি, তা ক্রমশই স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ আইসিস জঙ্গিদের উত্থানের পেছনে মালিকি-র কট্টর শিয়া-কেন্দ্রিক নীতির ছায়া রয়েছে৷ ইরাকের সংখ্যালঘু সুন্নিরা বহু দশক ধরে ক্ষমতা ভোগ করে যেভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে, তা চরম ক্ষোভ সৃষ্টি করছে৷ নুরি আল-মালিকি ক্ষমতা ছেড়ে দিলে তা কিছুটা প্রশমিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ সে ক্ষেত্রে আইসিস জঙ্গিদের প্রতি জনসমর্থন কমে যেতে পারে৷ তা না হলে রাষ্ট্র হিসেবে ইরাক ভেঙে যাবার আশঙ্কা রয়েছে৷ এই আগুন সিরিয়া সহ গোটা অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ সৌদি আরবের নেতৃত্বে সুন্নি ও ইরানের নেতৃত্বে শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে বৃহত্তর সংঘাত মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে৷

জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ক্ষেত্রে আরেকটি সমস্যা তুলে ধরেছে তুরস্ক৷ ন্যাটোর সদস্য দেশ হিসেবে সে দেশের মাটি থেকেই এমন অভিযান চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে৷ আইসিস জঙ্গিরা যে ভাবে নিরীহ মানুষের মধ্যেই মিশে রয়েছে, তার ফলে তাদের উপর বিমান বা ড্রোন হামলা চালালে অনেক সাধারণ মানুষও নিহত হতে পারে৷ আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে এমন অনেক ঘটনার ঠেলা সামলাতে হচ্ছে অ্যামেরিকাকে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য