1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে প্রবেশের হাই-টেক ব্যবস্থা

মার্টিন কখ/এসবি২ মার্চ ২০১৩

ইউরোপের কোনো দেশে প্রবেশ করতে হলে বিদেশিদের প্রায়ই নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়৷ সেগুলি দূর করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে একঝাঁক পদক্ষেপ নিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/17p6M
Beamte der Bundespolizei führen am Flughafen Frankfurt/Main bei Reisenden, die gerade ihr Flugzeug über die Gangway verlasen haben, eine Dokumentensichtung durch (Foto vom 19.08.2010). Dank der EU fehlen Grenzkontrollen in Deutschland fast überall. Doch die Flughäfen bleiben Einfallstore für Schleuser und Geschleuste. Daher macht die Polizei in Frankfurt schon an der Flugzeugtür Jagd auf Kriminelle - alle 15 Minuten stehen Beamte vor einem Flieger. Foto: Marius Becker dpa/lhe (zu dpa-Reportage: "Schleuserjagd an der Kabinentür" vom 05.09.2010) pixel
Schleuserjagd an der Kabinentürছবি: picture alliance/dpa

খোলামেলা ও আকর্ষণীয় অঞ্চল হিসেবে বিশ্বের কাছে ইইউ এক উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চায়৷ বহিরাগতরা যাতে সহজেই ইউরোপে প্রবেশ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা চালু করতে চায় এই রাষ্ট্রজোট৷ ইইউ-র স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনর সেসিলিয়া মাল্মস্ট্র্যোম বলেছেন, এই লক্ষ্যে ‘স্মার্ট বর্ডার্স' নামের এক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে৷ যারা ঘনঘন ইউরোপে আসেন, তাঁরা এই পদক্ষেপের ফলে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন৷

Symbolbild Metallgatter mit Schild "Schengen". Bekannt wurde der Ort in Luxemburg durch die Unterzeichnung des „Schengener Abkommen“ am 14. Juni 1985. Die Unterzeichnung erfolgte auf dem Moselpassagierschiff „Marie Astrid“. Mit dem Schengener Abkommen wurde die Abschaffung der Grenzkontrollen an den Binnengrenzen der Schengenstaaten eingeführt. Der Winzerort (1580 Einwohner) wurde wegen seiner geografisch symbolischen Lage im Dreiländereck ausgewählt.
ইউরোপীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ২০১১ সালে ইউরোপের অর্থনীতিতে প্রায় ২৭,১০০ কোটি ইউরোর বাড়তি অবদান রেখেছেন ইউরোপের বাইরের মানুষছবি: picture alliance/Romain Fellens

ইউরোপীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ২০১১ সালে ইউরোপের অর্থনীতিতে প্রায় ২৭,১০০ কোটি ইউরোর বাড়তি অবদান রেখেছেন ইউরোপের বাইরের মানুষ৷ তাই পর্যটক, ব্যবসায়ী, ছাত্রছাত্রী ও গবেষকরা যাতে যত সহজে সম্ভব ইউরোপে প্রবেশ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন মাল্মস্ট্র্যোম৷ তাছাড়া আজকের আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে পাসপোর্টের উপর হাতে করে ছাপ মারার পদ্ধতিও আর খাপ খায় না বলে মনে করেন তিনি৷

‘স্মার্ট বর্ডার্স' প্রকল্পের আওতায় থাকছে দুটি ব্যবস্থা, যার পোশাকি নাম ‘রেজিস্টার্ড ট্রাভেলার্স প্রোগ্রাম' বা ‘আরটিপি' ও ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম' বা ‘ইইএস'৷ বিমানবন্দর, স্থল সীমানা, বন্দরের প্রায় ২,০০০ প্রবেশপথে প্রায় ১০০ কোটি ইউরো মূল্যের এই পদক্ষেপ চালু করা হবে৷ ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে সব সদস্য দেশে এই প্রকল্প রূপায়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

যারা ঘনঘন ইউরোপে যাতায়াত করেন, ‘আরটিপি' ব্যবস্থার আওতায় তাঁরা একবার নিজেদের নথিভুক্ত করতে পারবেন৷ তারপর সেই তথ্য যাচাই করার পর তাঁরা মাশুল দিয়ে একটি বিশেষ ‘চিপ' হাতে পাবেন৷ সীমান্তে বিশেষ যন্ত্রে সেই চিপ ধরলেই হলো, অবাধে প্রবেশ করা যাবে ইউরোপে৷

‘ইইএস' ব্যবস্থার আওতায় বহিরাগতদের বায়োমেট্রিক তথ্যসহ ভিসার মেয়াদ নথিভুক্ত থাকবে৷ কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে সেই তথ্য জমা থাকার ফলে কোনো ব্যক্তির পক্ষে মেয়াদ ফুরানোর পর অবৈধভাবে ইউরোপে থাকা কঠিন হবে৷ এই সব তথ্য জমা রাখার বিষয়ে কিছু বিতর্ক অবশ্য এখনো চলছে৷ কিছু মহল সেই তথ্যের অপব্যবহারের আশঙ্কা করছে৷ নতুন এই ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়েও কিছু প্রশ্ন উঠছে৷ যেমন বহিরাগত কোনো ব্যক্তি ইলেকট্রনিক চিপ নিয়ে ইইউ-তে প্রবেশ করার পর তিনি কোথায় যাচ্ছেন, তা বোঝার কোনো উপায় থাকবে না৷ তাছাড়া কেউ যদি অসুস্থতার মতো কারণে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ইউরোপে থাকতে বাধ্য হন, তাঁকেও অপরাধী হিসেবে ধরে নেওয়া অন্যায় হবে বলে সমালোচকরা মনে করেন৷ গোটা প্রকল্পের বিশাল ব্যয়ভার ইউরোপের পক্ষে সত্যি বহন করা সম্ভব কি না, তারও সদুত্তর পাওয়া যায়নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য