1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্ষীণ আশার আলো

৩০ জানুয়ারি ২০১৩

ইউরোপের অর্থনীতি ধীরে হলেও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে৷ ইউরো এলাকায় ভাঙনের আশঙ্কাও ক্রমে দূর হচ্ছে৷ সংকটগ্রস্ত দেশগুলি থেকে নতুন করে কোনো দুঃসংবাদ আসছে না৷

https://p.dw.com/p/17Tfo
ছবি: picture-alliance/dpa

আগামী এক বছরে গোটা বিশ্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ডাভোসে বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামে উপস্থিত নেতারা৷ ইউরো এলাকার চরম সংকট কেটে যাওয়া সত্ত্বেও সতর্ক থাকতে হবে বলে তাঁরা মনে করছেন৷ তাঁদের মতে, ইউরোপের আর্থিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর সংস্কারের উদ্যোগের ফল পেতে কয়েক বছর লেগে যাবে৷

Spanische Ein-Euro-Münze unter dem EU-Rettungsschirm
২০১৪ সালে ইউরো এলাকার ১৮তম সদস্য হতে চলেছে লাটভিয়াছবি: picture alliance/Bildagentur-online/Ohde

সোমবার ইউরোপের পুঁজিবাজার বেশ চাঙ্গা ছিল, যদিও ইউরো এলাকা সম্পর্কে এখনো নেতিবাচক তথ্য এসে চলেছে৷ ইউরো এলাকায় ভাঙন ধরতে পারে – গত বছরের মাঝামাঝি সময় আন্তর্জাতিক বাজারে এমন আশঙ্কা দানা বাঁধছিল৷ কিন্তু এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, পুঁজিবাজারে সেই আশঙ্কা আর নেই বললেই চলে৷ শুধুমাত্র গ্রিসকে নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা রয়ে গেছে৷ ইসিবি-র বন্ড কেনার সিদ্ধান্ত ও গ্রিস ঠিক সময়ে নিজস্ব ঋণ আবার কিনে নেওয়ার ফলে আস্থা অনেক বেড়ে গেছে৷ ২০১৪ সালে ইউরো এলাকার ১৮তম সদস্য হতে চলেছে লাটভিয়া৷

ইউরোপে বেসরকারি খাতে ব্যাংক ঋণের অঙ্ক কমে চলেছে৷ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে এর মূল কারণ চাহিদার অভাব৷ ঋণের শর্তের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই৷ অনেক বিশেষজ্ঞ অর্থনৈতিক কার্যকলাপের অভাবকে এর জন্য দায়ী করছেন৷ অনেকের মতে, ইউরো এলাকা আবার প্রবৃদ্ধির পথে এগোচ্ছে বটে, তবে ঋণের উপর নির্ভর করে নয়৷ অন্যদিকে সাধারণ মানুষ আবার আরও বেশি ঋণ নিতে শুরু করেছেন৷ ইসিবি-র তথ্য অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির আশঙ্কাও কমে গেছে৷ মোটকথা সার্বিকভাবে ইউরো এলাকার প্রবৃদ্ধির আশা ধীরে হলেও বাড়ছে৷ জার্মানিতে ক্রেতাদের আস্থা বেড়ে যাচ্ছে – একটি সূচকে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে৷ অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়লে তবেই অর্থনীতি স্থায়ীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে ইউরোপের বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷

ইটালি আপাতত নির্বাচনি প্রচার নিয়ে ব্যস্ত৷ প্রধানমন্ত্রী মারিও মন্টির উত্তরসুরি হিসেবে যার নাম উঠে আসছে, সেই লুইজি বার্সানি বলেছেন, ক্ষমতায় এলে তিনি ইইউ-র সব নিয়ম মেনে নেবেন বটে, কিন্তু দেশকে চরম মন্দা থেকে মুক্ত করতে ব্যয় সংকোচের বদলে বিনিয়োগের পথে যাবেন৷

বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আকর্ষণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে গ্রিস৷ সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের এক প্রতিনিধি দল নিয়ে কাতার সফর করছেন৷ তাঁর সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও উন্নয়ন মন্ত্রীরাও গেছেন৷ উল্লেখ্য, সম্প্রতি কাতার হোল্ডিং কোম্পানি গ্রিসের উত্তরে সোনার খনিতে প্রায় ১২০ কোটি ইউরো বিনিয়োগ করেছে৷ তবে এথেন্স বিমানবন্দরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রথমে অংশ নিয়েও কাতার সম্প্রতি সেই প্রকল্প থেকে সরে এসেছে৷

সাইপ্রাসের বেলআউট-এর বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে৷ ইউরোগ্রুপের অর্থমন্ত্রীরা সাইপ্রাসের জন্য বেলআউট প্যাকেজের ক্ষেত্রে রাশিয়ার অবদানের প্রস্তাব খতিয়ে দেখছেন৷ তবে জার্মানির মতো কিছু দেশ সাইপ্রাসে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে৷ রুশ কোটিপতিদের কর ফাঁকি দেওয়ার ক্ষেত্রে সাইপ্রাস-কে যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে বেশ অস্বস্তি রয়েছে৷

স্পেনের বাজেট ঘাটতি কমাতে ইইউ যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে, তা কিছুটা শিথিল করা হতে পারে৷ ইইউ অর্থনীতি বিষয়ক কমিশনর অলি রেন স্পেনের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে ব্যয় সংকোচের ক্ষেত্রে কিছু রদবদল করা যেতে পারে বলে মনে করেন৷ প্রবৃদ্ধির বদলে সংকোচন হতে থাকায় নতুন করে বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে, বলেন রেন৷ ইউরো এলাকার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি যাতে দেউলিয়া হয়ে যায়, সে দিকে নজর রাখতে চায় ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলি৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য