হাসিনাকে মুনের ফোন
২৩ আগস্ট ২০১৩বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ড. ইউনূস বলেন, ‘‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হতে পারে না৷'' অথচ তিনিই নাকি ২০০৬ সালে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী রেখেই নির্বাচনের ফর্মুলা দিয়েছিলেন৷
অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ঢাকাটাইমস ডটকম এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে এক সংবর্ধনায় রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন ড. ইউনূস৷ সে সময় তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুই জোটের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি নির্বাচনি পরামর্শক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন৷ তখন এক বছরের জন্য একটি সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন ড. ইউনূস৷ তার প্রস্তাব অনুযায়ী, সর্বশেষ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে নির্বাচিত জোট নেত্রী (বেগম খালেদা জিয়া) হবেন সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী৷ আর উপ-প্রধানমন্ত্রী হবেন সংখ্যালঘু আসনে বিজয়ী দল বা জোট থেকে৷ তখন সেই জোটের নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা৷ তবে দুই পক্ষ চাইলে সেই সরকার দুই বছর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারবে বলে প্রস্তাব দেন ইউনূস৷ ইউনূসের প্রস্তাব অনুযায়ী, মেয়াদ শেষে সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এবং তার ফল সব পক্ষকে মেনে নিতে হবে৷''
জাহিদ নেওয়াজ খান তাঁর ফেসবুকে ঢাকাটাইমস এর প্রতিবেদন থেকে কিছু অংশ এবং ইউনূসের বৃহস্পতিবারের মন্তব্য থেকে কিছু অংশ তুলে দিয়ে শিরোনাম দিয়েছেন, ‘‘ড. ইউনূস: সেইদিন এইদিন৷''
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া আশরাফুল আলম খোকন জাহিদ নেওয়াজ খানের স্ট্যাটাস শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘ওনার নাম ইউনূস, খায় শুধু ঘুস আর জুস৷''
মুহাম্মদ সায়ফুল লিখেছেন, ‘‘হ্যাঁ, তিনি তাই বলেছেন৷ এটা তাঁর নিজস্ব প্রস্তাব ছিল এবং সেই সময়কার সংকট কাটানোর সমাধান ছিল৷ মনে হয়, এখন তিনি সেটা ভুলে গেছেন অথবা তিনি আসলেই একজন জ্ঞানপাপী৷''
সামহোয়্যার ইন ব্লগে ঢাকাটাইমসের প্রতিবেদনটি শেয়ার করেছেন ‘তালপাতারসেপাই'৷
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন টেলিফোন করার খবর দিয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোন করেন এবং প্রায় আধা ঘণ্টা কথা বলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি৷ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশের পরিস্থিতি জানতে চেয়েছেন বলে জানা গেছে৷
বিডিনিউজ সংবাদটি তাদের ফেসবুক পেজে শেয়ার করার পর তাতে মন্তব্য করেন অনেকেই৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ