ইউক্রেনে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে রুশ মিসাইল, মৃত ৫১
৬ অক্টোবর ২০২৩খারকিভের হ্রোজা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এখানে মাত্র ৩৩০ জন বাস করেন।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের কাছে প্রমাণ আছে যে, রাশিয়া ইসকান্দার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। স্থানীয় সময় বেলা একটা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পরামর্শদাতা মিখাইলো পোডোলিয়াক বলছেন, ''যারা রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধী প্রেসিডেন্ট পুটিনের সঙ্গে হাসিমুখে হাত মেলাতে চান, তারা যেন এই ঘটনার কথা মনে রাখেন। পুটিনের রাশিয়া হলো শয়তানের দেশ।''
রাশিয়ার নিন্দা
ইইউ-র বিদেশ সংক্রান্ত কমিটির প্রধান জোসেপ বরেল বলেছেন, ''নিরপরাধ সাধারণ মানুষের উপর আরেকটি জঘন্য আক্রমণ হলো। সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ হলো যুদ্ধাপরাধ। রাশিয়ার নেতৃত্ব, যারা এই আক্রমণ করছেন, তারা সকলেই দোষী।''
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ''এটা রাশিয়ার বর্বরোচিত আচরণ। প্রেসিডেন্ট পুটিন যা খুশি বলতে পারেন, কিন্তু তিনি এই যুদ্ধের জন্য দায়ী। সেজন্যই যুক্তরাজ্য রাশিয়ার বিরোধিতা করছে এবং করবে।''
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ''মৃতদের মধ্যে একটি ছয় বছরের বাচ্চা আছে। রাশিয়া ইচ্ছে করে এই আক্রমণ করেছে। এটা জঙ্গি হামলা ছাড়া আর কিছু নয়।''
ইউক্রেন এই ঘটনার কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাড়ি ভেঙে পড়েছে। মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রিয়জনদের হারিয়ে মানুষ পুরো বিপর্যস্ত।
জেলেনস্কির আবেদন
ইইউ-র নেতারা এখন স্পেনে বৈঠক করছেন। তাদের কাছে জেলেনস্কি বলেছেন, আসন্ন শীতে রাশিয়ার আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ইউক্রেনকে যেন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেয়া হয়।
জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎস জানিয়েছেন, জার্মানি ইউক্রেনকে একটি প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেবে। অ্যামেরিকা ও নেদারল্যান্ডসও একটা করে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিচ্ছে।
গত শীতে রাশিয়া ইউক্রেনের পরিকাঠামোর উপর একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছিল। এর ফলে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়। অনেক জায়গায় বাড়ি গরম রাখার ব্যবস্থা কাজ করেনি। ফলে মানুষ প্রবল কষ্টের মধ্যে পড়েন। এবারও তারা একই কাজ করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, এপি, এএফপি)