প্রিভেনটিভ অ্যাকশন নেয়া উচিত ছিল
২ জুলাই ২০১৬জিম্মি করার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাতেই তাদের হত্যা করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে৷ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক বলেন, অভিযানকারীরা ভেতরে ঢোকার পর ২০ জনের মৃতদেহ পায়৷ ঐ বেকারির বেশ কয়েকজন বিদেশিসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন জিম্মি হয়েছিল বলে ধারণা দিয়েছেন সেখান থেকে বের হয়ে আসা সুপারভাইজার সুমন রেজা৷
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘অভিযানের কারণ অথবা ঠিক কীভাবে ঘটনাটি ঘটলো, তা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না৷ তবে এখানে যেটা ঘটলো, সেটা সারা বিশ্বেই হচ্ছে৷ আমাদের প্রিভেনটিভ অ্যাকশন নেয়া উচিত ছিল৷ দেশের নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে হবে৷ কারণ সন্ত্রাদবাদ সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে৷’
অভিযান শেষে বেকারি থেকে বেরিয়ে আসা একজন কর্মকর্তা বলেন, ভেতরে পাঁচ-ছয়জনকে বসিয়ে রাখা হয়েছে৷ সাদা পোশাক পরা ওরা সম্ভবত ওই রেস্তোরাঁর কর্মী৷ তিনি রেস্তোরাঁর ভেতরে কয়েকজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছেন৷ গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল সূত্র জানায়, ঐ হাসপাতালে মোট ৩৬ জন আহত ব্যক্তিকে নেওয়া হয়েছিল৷ এখন ভর্তি আছেন ২৪ জন৷
জিম্মি উদ্ধারে শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার পরপর সেনাবাহিনী, সোয়াত, পুলিশ, র্যাব, বিজিবির সমন্বয়ে অভিযান শুরু হয়৷ অভিযানের সময় সেখানে সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌ-বাহিনীর প্রধানও উপস্থিত ছিলেন৷
সকাল সাড়ে আটটার দিকে অভিযানে থাকা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, ভেতরে পাঁচজন মারা গেছেন৷ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে৷ এঁদের মধ্যে দু'জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন৷ জীবিত উদ্ধার হওয়াদের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে৷ নিহত ও উদ্ধার করা ব্যক্তিদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি৷
এদিকে অভিযান শুরুর আগে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস এই বার্তা সংস্থার মাধ্যমে ঐ রেস্তোরাঁর ভেতরে তাদের হাতে নিহত কয়েকজনের রক্তাক্ত ছবি প্রকাশ করে৷ সেসব ছবি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ টুইটারে প্রকাশ করে অভিযান শুরুর প্রায় আধা ঘণ্টা আগে, যাতে আইএস ২৪ জন নিহতের দাবি করেছে৷
শুক্রবার রাত পৌনে ন'টার দিকে গুলশানের ৭৯ নম্বরের আর্টিজান রেস্তোরাঁ বা বেকারিতে ৮ থেকে ১০ জন যুবক অতর্কিত হামলা চালায়৷ এরপর তারা সেখানে থাকা ব্যক্তিদের জিম্মি করে৷