গুলশানে অস্ত্রধারীদের হামলা
১ জুলাই ২০১৬
রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারিতে শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ৮ থেকে ১০ জন অস্ত্রধারী অতর্কিত হামলা চালায়৷
দৈনিক প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের খবর অনুযায়ী, নিহতদের একজন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দীন খান৷
বেকারিটি এখনো অস্ত্রধারীদের নিয়ন্ত্রণে৷তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন আইএস হামলার দায় স্বীকার করেছে৷
ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, কারা এবং কেন অতর্কিত এ হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে পুলিশ এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেনি৷
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, “সেখানে কিছু অস্ত্রধারী প্রবেশ করেছে৷ এটাই আমাদের কাছে খবর৷ কিছু কর্মচারী বের হয়ে এসেছে৷ তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি৷ এখন আমরা চেষ্টা করছি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে একটা কিছু করা যায়৷''
র্যাবের মহাপরিচালক আরো বলেন, “যারা ওখানে ঢুকেছে, তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ স্থাপন করতে চাই, তাদের কী সমস্যা সেটা আমরা শুনতে চাই৷ আমরা পিসফুলি রিজলভ করতে চাই৷ এটা আমাদের প্রথম লক্ষ্য৷”
স্থানীয় সময় রাত পৌনে একটার দিকেও বেকারির ভিতরে অবস্থান নেয়া অস্ত্রধারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছিল৷
বেকারির ভেতরে বেশ কিছু মানুষকে অস্ত্রধারীরা জিম্মি করে রেখেছে৷ জিম্মিদের মধ্যে অনেকেই বিদেশি নাগরিক৷
হলি আর্টিজান বেকারির সুপারভাইজার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘হামলাকারীরা আল্লাহু আকবার বলে বেকারিতে ঢুকে পড়ে৷ এরপর একের পর এক বোমা ফাটাতে শুরু করে৷''
গুলশান ২-এর লেকভিউ ক্লিনিকের খুব কাছের ৭৯ নম্বর রোডের ওই এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা৷ আকাশে টহল দিচ্ছে র্যাবের হেলিকপ্টার৷
বিডিনিউজ আরো জানায়, ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চারজন পুলিশ সদস্যকে আহত অবস্থায় সরিয়ে নিতে দেখা গেছে যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ আহতদের গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে৷
এসিবি/ডিজি