আভদিভকার দখল নিয়ে ইউক্রেন-রাশিয়া তীব্র লড়াই
১৩ অক্টোবর ২০২৩পূর্ব দনবাসের শহর আভদিভকার। গত কয়েকদিন ধরে এই শহরটির দখল নিয়ে ইউক্রেনের সেনার সঙ্গে রাশিয়ার সেনার তীব্র সংঘর্ষ চলছিল। ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার সেনাকে তারা ওই অঞ্চলে ঠেকিয়ে দিতে পেরেছে। শহরটি এখনো তাদের দখলেই আছে। রাশিয়ার সেনা পিছু হটেছে।
কিন্তু রাশিয়ার দাবি ঠিক তার উল্টো। তারা জানিয়েছে, ওই ফ্রন্টে তাদের সেনা কিছুটা হলেও এগোতে পেরেছে। শহরের একাংশ দখল এখন তাদের হাতে। অর্থাৎ,রাশিয়ার দাবি ইউক্রেনের সম্পূর্ণ বিপরীত।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রাশিয়ার যে ওই অঞ্চলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যুদ্ধাস্ত্র ছেড়ে রাশিয়ার সেনা পালিয়েছে, এমন উদাহরণও আছে। তবে শহরটি কার দখলে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
চেক রিপাবলিক এবং ডেনমার্ক একত্রে সাহায্য করছে ইউক্রেনকে। চেক বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করছে ইউক্রেনকে। তারা জানিয়েছে, ইউক্রেনকে ৫০টি যুদ্ধের গাড়ি, আড়াই হাজার পিস্তল, সাত হাজার রাইফেল, ৫০০টি লাইট মেশিনগান এবং ৫০০টি স্নাইপার দেওয়া হচ্ছে। ডেনমার্কও এই অস্ত্র কেনার জন্য অর্থ দিয়েছে।
ইউক্রেনকে এই সাহায্য করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল ডেনমার্ক। তবে এর জন্য ঠিক কত অর্থ খরচ হয়েছে, তা জানানো হয়নি। ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে তারা অ্যান্টি ট্যাঙ্ক অস্ত্রও দিতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
অলিম্পিক কমিটির সিদ্ধান্ত
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার অলিম্পিক কমিটিকে ব্যান বা প্রত্যাখ্যান করছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অলিম্পিক কমিটির বক্তব্য, রাশিয়া ইউক্রেনের চারটি জায়গা দখল করেছে এবং সেই চারটি জায়গাকে সমর্থনের জন্যই তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। রাশিয়া লুহানস্ক, ঝাপরিজ্ঝিয়া, দনেৎস্ক এবং খেরসনের অলিম্পিক কমিটিকে নিজেদের হাতে আনার চেষ্টা করেছিল। সে কারণেই অলিম্পিক কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, এর ফলে রাশিয়ার অ্যাথলিটদের আন্তর্জাতিক আয়োজনে অংশ নিতে অসুবিধা হবে না। তারা নিরপেক্ষ খেলোয়াড় হিসেবে যোগ দিতে পারবেন। কিন্তু দেশের পতাকা নিয়ে মাঠে নামতে পারবেন না তারা। ইউক্রেন অলিম্পিক কমিটির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)