ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া
৩১ জুলাই ২০১৯ক্ষেপণাস্ত্র দুটি সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার উপরে উঠে ২৫০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে জাপান সাগরে পড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জানিয়েছেন, ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা প্রশমনে কোনো ভূমিকা রাখবে না৷ উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি৷ এবারের ক্ষেপণাস্ত্র দুটি আগের চেয়ে ‘চেয়ে আলাদা ধরনের' বলেও জানান দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ৷
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কার্যক্রম জাপানের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়৷' দেশটির জলসীমায় কোনো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়েনি বলেও নিশ্চিত করেছেন জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তাকেশি আওয়াইয়া বলেছেন, ‘‘এটা সত্যি দুঃখজনক ঘটনা৷ জাতিসংঘের রেজ্যুলেশন অমান্য করে উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে৷''
ছয় দিন আগে ছোঁড়া উত্তর কোরিয়ার স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে ৬৯০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে সাগরে পড়েছিল। উত্তর কোরিয়ার দাবি, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সিউলের পরিকল্পিত সামরিক মহড়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া হাই-টেক সামরিক সরঞ্জাম কেনার বিষয়ে সতর্ক করতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে৷ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে পিয়ংইয়ং৷
এরআগের ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পিও উত্তর কোরিয়ার আচরণের সমালোচনা করে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনাকে এগিয়ে নিতে চায়৷
গত সপ্তাহের উৎক্ষেপণটি জুনে দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী সীমান্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বৈঠকের পর প্রথম এ ধরনের ঘটনা ছিল।
টিএম/কেএম (এএফপি, এপি, রয়টার্স)