1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আজ বনে সম্মেলন

৫ ডিসেম্বর ২০১১

আজ থেকে ঠিক ১০ বছর আগে আফগানিস্তান নিয়ে সম্মেলন হয়েছিল জার্মানিতে৷ আজ আবারও বসতে যাচ্ছে এমনই এক সম্মেলন৷ তবে এবারের বিষয়টা ভিন্ন৷

https://p.dw.com/p/13MQP
আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইছবি: dapd

দশ বছর আগের সম্মেলনে আফগানিস্তানের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল৷ দেশটির সব বিরোধীপক্ষ ঐ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিল৷ তবে ডাকা হয়নি তালেবানকে৷ কারণ তার মাত্র কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা করে তালেবানকে নাস্তানাবুদ করেছিল৷ ফলে সম্মেলনে তালেবানকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি৷ বর্তমান আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ঐ সম্মেলনের ফলে গঠিত হওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন৷

আজ ১০ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট কারজাই'ই থাকবেন চালকের আসনে৷ গতবারের মতো এবারও থাকছেনা তালেবানের কোনো প্রতিনিধি৷ তবে সেবার তালেবানকে আমন্ত্রণ জানানো না হলেও এবার চেষ্টা ছিল তাদেরকে অংশ নেয়ানোর৷ কিন্তু তারা রাজি না হওয়ায় সম্মেলনের সফলতা নিয়েই আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ৷

তালেবানের মতো সম্মেলনে থাকছেনা পাকিস্তানের কেউ৷ অথচ আফগানিস্তান প্রশ্নে পাকিস্তানের মতামতের একটা গুরুত্ব ছিল৷ কেননা আফগানিস্তানে শান্তি বজায় রাখতে তালেবানের সঙ্গে সুসম্পর্ক দরকার সরকারের৷ আর এই তালেবানের অনেক বড় নেতা পাকিস্তানে থাকেন বলে ধারণা করা হয়৷

সব মিলিয়ে দুই প্রভাবশালীর অনুপস্থিতিতে বন সম্মেলন কতটা সার্থক হবে সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে৷ কেননা এবারের সম্মেলনের উদ্দেশ্যই হল ২০১৪ সালে বিদেশি সেনা চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তান কীভাবে চলবে সেটা নির্দিষ্ট করা৷

Afghanistan-Konferenz Plenarsaal
জার্মানির সাবেক সংসদে বসবে সম্মেলনছবি: picture-alliance/dpa

সাধারণ আফগানরা সবকিছুর আগে চায় জীবনের নিরাপত্তা৷ তাদের আশঙ্কা, বিদেশি সেনা চলে যাওয়ার পর সরকারি বাহিনী তাদের নিরাপত্তা দিতে পারবেনা৷

আফগান নাগরিকদের এই শঙ্কার মূল কারণ তালেবানের শক্তি৷ তাই তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করে যদি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা যায় তাহলে সেটা সার্থক হবে বলে মনে করে বেশিরভাগ আফগান৷ তাই বন সম্মেলনে তালেবানের অনুপস্থিতি তাদের ভাবিয়ে তুলছে৷

এদিকে তালেবান যেন সম্মেলনে অংশ নেয় সেজন্য এ বছরের শুরু থেকেই কাবুলে থাকা কূটনীতিকরা চেষ্টা করে আসছিলেন৷ কিন্তু তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম বুরহানুদ্দিন রব্বানি নিহত হওয়ার পর সেটা বন্ধ হয়ে যায়৷

তালেবানের সঙ্গে আলোচনা সফল না হওয়ার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী মনে করেন আফগান প্রেসিডেন্ট৷

এদিকে পাকিস্তানের অংশ না নেয়ার কারণ গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে থাকা ন্যাটো বাহিনীর আঘাতে ২৪ পাকিস্তানি সেনার মৃত্যু৷

তালেবান ও পাকিস্তানের অনুপস্থিতিতে বন সম্মেলনটি আফগানিস্তান নিয়ে অনুষ্ঠিত অন্যান্য সম্মেলনের মতোই ‘তাৎপর্যহীন' হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন কাবুলে ব্রিটেনের সাবেক রাষ্ট্রদূত শেরার্ড কাওপার-কোলস৷

যাই হোক, সম্মেলনে অংশ নিতে প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ইতিমধ্যে জার্মানিতে এসে গেছেন৷ সম্মেলনে প্রায় ৯০ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহ ১৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকবেন৷ উপস্থিত থাকবেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান-কি মুনও৷

এদিকে সম্মেলনের আগে এক সাক্ষাৎকারে আফগান প্রেসিডেন্ট তাঁর দেশের জন্য আর্থিক ও সামরিক সহায়তা চেয়েছেন৷ জার্মানির সাপ্তাহিক ‘ডেয়ার স্পিগেল'কে তিনি বলেন ২০১৪ সালের পরও আরও অন্তত ১০ বছর আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রয়োজন হবে তাদের৷ কেননা নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য যেমন প্রশিক্ষণ দরকার, তেমন প্রয়োজন পর্যাপ্ত অস্ত্র৷

এদিকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বলেছেন ২০১৪ সালের পরও যে আন্তর্জাতিক বিশ্ব আফগানিস্তানকে ছেড়ে যাবে না বন সম্মেলন তারই একটা প্রমাণ৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান