Afghanistan-Konferenz
৩ ডিসেম্বর ২০১১২০১৪ সালে বিদেশি সেনারা ফিরে আসবে নিজ দেশে৷ কিন্তু আফগানরা আতঙ্কিত – তাহলে কি আবারও তালেবান জঙ্গিরা ক্ষমতায় ফিরে আসবে? কান্দাহারের ছেলেরা প্রায়ই মসজিদে সময় কাটায়৷ সবসময় যে নামাজের জন্য তারা সেখানে যায় তা কিন্তু নয়৷ মসজিদ থেকে নানা ধরণের তথ্যও সংগ্রহ করা যায়৷ ইদানিং একটি বিষয় সম্পর্কে সবাই জানতে আগ্রহী৷ তাহলো - বন শহরে আফগানিস্তান সম্মেলনে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে? সাইদ শাহ বয়সে তরুণ৷ কান্দাহারে তার জন্ম৷ তিনি জানান, কেন বন সম্মেলনের খুঁটিনাটি জানা তার জন্য জরুরি৷ তিনি বললেন,‘‘দশ বছর আগেও এরকম একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বন শহরে৷ এরপর বিদেশি সেনারা আফগানিস্তানে এসেছিল তালেবান উৎখাত করতে৷ এখন শুনছি বিদেশি সেনারা ফিরে যাবে তাদের দেশে৷ আমরা জানতে চাই এখন আমাদের কী হবে?''
তালেবান শাসনামলে কেউই ফিরে যেতে চায় না
কান্দাহারের মানুষদের মধ্যে ভয় ঢুকে গেছে৷ জঙ্গি তালেবান আবারো ক্ষমতায় আসবে, দেশ শাসন করবে – এসব তারা আর দেখতে চায় না৷ তারা বেশ ভাল করেই জানে যে, আফগান পুলিশ এবং সেনাবাহিনী আর যাই হোক তালেবানের হাত থেকে সাধারণ মানুষদের রক্ষা করতে পারবে না৷ দেশের নিরাপত্তা তো দূরের কথা৷ অনেকেই আশঙ্কা করছে নতুন করে হয়তো গৃহযুদ্ধ বেধে যাবে দেশে৷ দেশের শাসনকর্তাদের সঙ্গে তালেবান নেতাদের বোঝাপড়া এত সহজে হবে না৷ এবং এর ফল ভোগ করবে সাধারণ নিরীহ মানুষরা৷ সবার মনে একটিই প্রশ্ন ২০১৪ সালে বিদেশি সেনারা নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পর আফগানদের নিরাপত্তা কে বা কারা নিশ্চিত করবে? কীরকম হবে তাদের দৈন্দিন জীবন-যাপন?
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের মাজার-ই-শরিফের বাসিন্দা পালওয়াশা৷ সেখানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার জার্মান সেনা মোতায়ন আছে৷ পালওয়াশা একজন গৃহবধূ, তার দুটি সন্তান৷ তিনিও তার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত৷ তিনি মনে প্রাণে আশা করছেন, বন সম্মেলনে এমন কিছু সিদ্ধান্ত যেন নেয়া হয় যাতে করে আফগানরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে৷ আর যাই হোক তালেবান জঙ্গিদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শিকার যেন কেউ না হয়৷
প্রতিবেদন: রাতবিল শামেল/মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক