1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা খালেদার

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৩ মার্চ ২০১৫

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘‘চলমান সংকট সমাধানের চাবিকাঠি সরকারের হাতে৷'' ওদিকে আওয়ামী লীগের বক্তব্য, ‘‘বিএনপি এখন আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যায় নেমেছে''৷

https://p.dw.com/p/1EqRF
Bangladesch Khaleda Zia vor dem Gericht in Dhaka
(ফাইল ফটো)ছবি: M. uz Zaman/AFP/Getty Images

শুক্রবার বিকেলে খালেদা জিয়া তাঁর গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘যৌক্তিক পরিণতিতে না পৌঁছানো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে৷ সাহসিকতার মাধ্যমে সবাই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলে আন্দোলন সফল হবে৷''

তিনি বলেন, ‘‘সংকট সমাধানের চাবিকাঠি ক্ষমতাসীনদের হাতে৷ তাই সংকট নিরসনের মাধ্যমে তারা সেই কাঙ্খিত জাতীয় ঐক্যের পথ খুলে দিতে পারে৷ তাহলেই আমরা সংকটমুক্ত হয়ে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস পালন করতে পারবো৷ আমি আশা করি, ক্ষমতাসীনদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে৷ তারা সমঝোতার পথে ফিরে আসবে৷ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সংকট দ্রুত নিরসনের উদ্যাগ নেবে৷''

খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘দেশ আজ গভীর সংকটে৷ এই সংকট রাজনৈতিক৷ এর স্রষ্টা আওয়ামী লীগ, নির্দিষ্ট করে বললে শেখ হাসিনা৷ জনগণের সম্মতি ছাড়া রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন তিনি৷ আওয়ামী লীগ একতরফা সিদ্ধান্তে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাদ করে দেয়৷ সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো সুযোগই তারা রাখেনি৷''

সংবাদ সম্মেলনে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়াসহ চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে কিছু দাবি তুলে ধরেন বেগম জিয়া৷ তিনি বলেন, ‘‘গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তি, গুম-খুন-অপহরণ ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ, মামলা প্রত্যাহার, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি, সভা-সমাবেশের ওপর বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য দ্রুত সংলাপের আয়োজন করতে হবে৷''

বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ খোলা রাখা হয়নি৷ তাই আমরা আন্দোলনের পথই বেছে নিয়েছি৷'' তিনি নেতাক-র্মীদের নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘যাঁরা এখনো নিষ্ক্রিয় আছেন তাঁরা সক্রিয় হন৷''

দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘সালাহ উদ্দিন আহমেদকে মুক্তি দিন৷ অন্যথায় পরিণতি শুভ হবে না৷''

আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া

এদিকে খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের পর পরই ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ৷ তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি ২০১৪ সালে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে এখন আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যায় নেমেছে৷''

তিনি ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের সময় বিএনপির বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ায় সময়ে ১৪২ জন সাধারণ মানুষকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করেছে তারা৷ সহিংস কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল বিএনপি৷ এ অভিযোগে খালেদা জিয়াকে বিচারের মুখোমুখি করা যেতে পারে৷''

হানিফ অভিযোগ করেন, ‘‘জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলেই খালেদাও ভোটে আসেননি৷ কারণ বিএনপি-জামায়াত একে অপরের বন্ধু৷ বন্ধুকে ছাড়া খালেদা কীভাবে নির্বাচনে যাবেন?''

তিনি বলেন, ‘‘বন্ধুর মন রক্ষা করতে নির্বাচনে না গিয়ে এখন সহিংসতা চালিয়ে দেশের মানুষকে হত্যা করছে বিএনপি-জামায়াত৷ সরকার সহিংসতা আর জঙ্গিবাদের কাছে মাথা নত করবে না৷ যারা পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হতে পারে না৷''

প্রসঙ্গত, ৩রা জানুয়ারি থেকে গুলশান কার্যালয়ে আছেন খালেদা জিয়া৷ ৫ই জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের বছরপূর্তিতে নয়া পল্টনে প্রতিবাদ সমাবেশে যেতে না পেরে তিনি ৬ই জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেন৷ এরপর যুক্ত হয় টানা হরতাল৷ টানা অবরোধ-হরতালের শুক্রবার ছিল ৬৭তম দিন৷

৬ই জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধ-হরতাল শুরু হওয়ার পর এটি খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় সংবাদ সম্মেলন৷ তিনি সর্বশেষ ৫৩ দিন আগে ১৯শে জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁর গুলশানের কার্যালয়ে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য