1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইনের কড়াকড়ি সত্ত্বেও ভারতে শিশুশ্রম ব্যাপক

১৩ জুন ২০১২

বাচ্চাদের কলকারখানা এবং অন্যত্র বিভিন্ন ধরণের কাজে লাগানোর ঘটনা বেড়েই চলেছে ভারতে৷ দেশটিতে বাধ্যতামূলক শিক্ষা আইনে নিখরচায় লেখাপড়ার সংস্থান থাকলেও, দারিদ্র ও পারিপার্শ্বিক চাপে শ্রমজীবীর পথ বেছে নিচ্ছে শিশুরা৷

https://p.dw.com/p/15DKO
ছবি: picture-alliance/dpa

দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল একটি কাপড়ের কলে হানা দিয়ে ২৬ জন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করে৷ কিছু পালিয়ে যায়৷ শিশু শ্রমিক নিয়োগের অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচ জনকে৷ শুধু দিল্লিতেই আছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার শিশু শ্রমিক৷ ভারতে বিভিন্ন জায়গায় এদের লাগানো হয়, কার্পেট শিল্পে, জরির কাজে, বিড়ি তৈরি ও পাথর ভাঙ্গার কাজে, হোটেলে, রেস্তোঁরায়, ওয়েল্ডিং ও অ্যাসিড দিয়ে ধাতু পালিশের কাজে এবং গৃহস্থ বাড়ির ঝি-চাকরের কাজে৷ পারিশ্রমিক নগণ্য৷ কোথাও কোথাও স্রেফ খাওয়া ও মাথা গোঁজার বিনিময়ে৷

এর কারণ কী শুধুই দারিদ্র? দারিদ্র, ক্ষুধা, সম্বলহীনতাই এর আসল কারণ বলে মানাতে রাজি নয় শিশু সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা এনজিও'র কর্মকর্তা দীপক কালরা৷ এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে শিশুর অভিভাবকরাই বাচ্চাদের কাজের জন্য পাঠায়৷ দিল্লির কাছে গ্রেস কেয়ার হোমের কর্মকর্তা জর্জ ম্যাথু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে সেকথাই বললেন ডয়চে ভেলেকে৷ বললেন, ‘‘আমাদের এখানে একটি বাচ্চা আছে৷ গ্রিল তৈরির কারখানায় সে ওয়েল্ডিং-এর কাজ করতো৷ পড়াশুনা বন্ধ রেখে তার বাবাই তাকে এই কাজ করতে পাঠায়৷ শিশুশ্রম শুরু হয় বাড়ি থেকেই৷ স্বামী মারা গেলে কোনো নারী দ্বিতীয়বার বিয়ে করলে, দ্বিতীয় স্বামী মহিলার আগের পক্ষের বাচ্চাদের ওপর নির্যাতন করে৷ তখন তারা বাড়ি থেকে পালাতে বাধ্য হয়৷ আর শহরে এসে যোগ দেয় শিশু শ্রমিকের দলে৷''

Welttag gegen Kinderarbeit - Kind arbeitet in Peru Flash-Galerie
এই শ্রম আসলে আধুনিক সমাজের অপমানের দৃষ্টান্তছবি: dpa

কেউ কেউ মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ১৯৮৬ সালের শিশুশ্রম আইন যথেষ্ট নয়৷ এর সংশোধন দরকার৷ কোনো কোনো স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন ব্যাপক শিশু শ্রমের জন্য দায়ী করে সরকারের সদিচ্ছার অভাবকেই৷ এই জটিল সমস্যার বিহিত করতে দরকার বহুমুখী কর্মপন্থা৷

ভিন রাজ্য থেকে আসা শিশু শ্রমিকদের উদ্ধারের পর তাদের ঘরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে৷ কিন্তু গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে যায় সমন্বয়ের অভাব৷ পরিবারের হাতে তুলে দেবার অর্থ পুনর্বাসন নয়৷ গ্রেস কেয়ার হোমের জর্জ ম্যাথু মনে করেন, ‘‘পথ শিশুদের প্রথমে দরকার আশ্রয়৷ সরকারের তরফে সেই উদ্যোগ নিতে হবে৷ তাদের পাঠাতে হবে পুনর্বাসন কেন্দ্রে৷ সেখানে লেখাপড়া ও হাতের কাজ শিখিয়ে ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তুলতে হবে তাদের৷''

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য