অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার: ডেসটিনির রফিকুল ও হারুনের কারাদণ্ড
১২ মে ২০২২বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম বৃহস্পতিবার মামলার রায় ঘোষণা করেন৷
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটির প্রায় এক হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের এ মামলায় আসামি ছিলেন মোট ৪৬ জন৷ বাকিদের রায় ঘোষণা চলছে৷
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক৷ মামলায় ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়৷
২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেয়৷ ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়৷ হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি৷
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ প্রোজেক্টের নামে ২০০৮ সাল থেকে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এক হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করে৷ সেখান থেকে এক হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে৷ ওই অর্থ আত্মসাতের ফলে সাড়ে আট লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন৷
ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রোজেক্টের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে দুই হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে৷ এর মধ্যে দুই হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাত৷ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী৷
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেসটিনি গ্রুপের নামে ২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল নামসর্বস্ব৷ আসামিরা প্রথমে প্রকল্পের টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা করতেন৷ তারপর বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে তা স্থানান্তর করা হতো৷
দুদক ৩৪টি ব্যাংকে এ রকম ৭২২টি হিসাবের সন্ধান পায়, যেগুলো পরে জব্দ করা হয়৷ আত্মসাৎ করা চার হাজার ১১৯ কোটি টাকার মধ্যে ৯৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগও আনা হয় দুই মামলায়৷
ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা এখন সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে৷
এফএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)