অমরনাথ নিয়ে ততটা সরব নয় সোশাল মিডিয়া
২৭ এপ্রিল ২০২১জ্যোতিষশাস্ত্রের পরামর্শ মেনে ২০২২ সালের বদলে ২০২১ সালে এগিয়ে নিয়ে আসা হয় কুম্ভমেলা, যা নিয়ম মেনে উদযাপন করা হয় প্রতি ১২ বছর অন্তর অন্তর৷ করোনা সংকটের মধ্যেই এই মেলা পালিত হলো এক বছর আগেই, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই৷ এই উৎসবের সমালোচনায় মুখর হয়েছে ভারতের জনগণের সাথে সাথে বিশ্বের বড়ছোট বহু সংবাদমাধ্যমও৷
কুম্ভমেলা ও নির্বাচনী প্রচার মিলেমিশে মার্চ-এপ্রিল মাসে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, বলছে বহু সংবাদমাধ্যম৷ অক্সিজেন ও অন্যান্য চিকিৎসা সংকটের মধ্যে পড়ায় ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বেশ কিছু রাষ্ট্র৷
কিন্তু জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত চলা অমরনাথ তীর্থ স্থগিত রাখা নিয়ে কোনো আলোচনা শোনা যাচ্ছে না কর্তৃপক্ষের তরফে৷ এই তীর্থে অংশগ্রহণের আবেদন আপাতত বন্ধ রাখা হলেও এর আগেই প্রায় ৩০ হাজার জন নিবন্ধন করেছেন৷
অমরনাথ তীর্থযাত্রার খুঁটিনাটি
হিমালয়ের একটি গুহায়, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৭৩০ ফুট উঁচুতে, রয়েছে অমরনাথ তীর্থক্ষেত্র৷ কাশ্মীরের এই তীর্থক্ষেত্রে পৌঁছতে তীর্থযাত্রীদের হাঁটতে হয় প্রায় ৩০ কিলোমিটারের পথ৷ গুহার ভেতর বরফজমা শিবলিঙ্গই এই তীর্থস্থানের মূল আকর্ষণ, যা দেখতে ভিড় জমান লাখ লাখ মানুষ৷
করোনা পরিস্থিতিতে ২২ এপ্রিল থেকে নিবন্ধন প্রক্রিয়া বন্ধ থাকলেও থেমে নেই কর্তৃপক্ষের তরফে তোড়জোর৷ অমরনাথ তীর্থের আয়োজক সংস্থা শ্রী অমরনাথ শ্রাইন বোর্ডের ওয়েবসাইট এখনও বলছে, ২৮ জুন থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত বহাল আছে এই তীর্থযাত্রা৷ সাংবাদিকদের বক্তব্য, তীর্থের পাশে বালটাল ও চান্দানওয়াড়িতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তীর্থযাত্রীদের জন্য শিবির তৈরির কাজ৷
সোশাল মিডিয়ায় অমরনাথ কোথায়
অমরনাথে ক্ষেত্রে এখনও তা সত্য না হলেও, টুইটারে আগে থেকেই ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছিল কুম্ভমেলার নানা দৃশ্য৷ দেশি-বিদেশি নানা সংবাদমাধ্যমের টুইটারে উঠে আসছিল জনসমাগমের কড়া সমালোচনা৷
সে তুলনায় এখনও পর্যন্ত কম আলোচিত হচ্ছে আসন্ন অমরনাথের এই তীর্থযাত্রাটি৷ নিবন্ধনের প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় অনেকেই হয়তো আশা করছেন যে, শেষ পর্যন্ত স্থগিত রাখা হবে এই উৎসব৷ অন্যদিকে, সোশাল মিডিয়ায় সোচ্চার হওয়াদের একাংশের মত, তীর্থস্থানটি যেহেতু কাশ্মীরে, ফলে সেখানের খবর সাধারণ মানুষের কাছে এসে পৌঁছানো অত সহজ নয়৷ অনেকেই হয়তো অমরনাথের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে অবগত নন৷ ফলে, আলোচনা হবার সুযোগ কম৷
অন্যদিকে, ভারতে সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একটা বড় অংশের কাছে আলোচ্য বিষয় এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ ও চিকিৎসা পরিষেবার অভাবের বিষয়টি৷ তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে গুরুত্ব পাচ্ছে অক্সিজেনসহ বিভিন্ন পরিষেবা বিষয়ক তথ্য ভাগাভাগি করে নেবার চল৷ এর মধ্যে আলাদা করে অমরনাথ নিয়ে কোনো ধারা চোখে না পড়লেও বিচ্ছিন্নভাবে ইস্যুটি আলোচিত হচ্ছেই৷
কিন্তু ভবিষ্যতে কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয়, তার ওপরেই নির্ভর করছে জনগণকে এবিষয়ে কথা বলতে কতটা বাধ্য করবে এবছরের অমরনাথ তীর্থ৷