জার্মানিতে শিক্ষক দরকার
২০ নভেম্বর ২০১৮জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনো মানসম্পন্ন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত বহু অভিবাসী শিশু৷ ‘২০১৯ গ্লোবাল এডুকেশন মনিটারিং রিপোর্ট' শিরোনামের এই প্রতিবেদন বলছে, প্রশিক্ষিত শিক্ষক ও পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবেই দেখা দিয়েছে এই সমস্যা৷
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বর্তমান বিশ্বের ঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়া মানুষদের অর্ধেকের বয়সই আঠারোর কম৷যে দেশগুলিতে আশ্রয় চাইছেন তারা, সেখানে মানসম্পন্ন শিক্ষা জুটছে না তাদের৷
বিশ্বের ৮৯ শতাংশ শরণার্থীর বাস নিম্ন ও মাঝারি আয়ের দেশগুলিতে৷ সেখানে শরণার্থী শিশুদের জন্য নেই কোনো উন্নত শিক্ষা পরিষেবা৷জার্মানিতেও প্রয়োজন রয়েছে অন্তত ৪২,০০০ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের৷
কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, উগান্ডা, চাড ও ইথিওপিয়া'র মতো নিম্ন আয়ের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অভিবাসী শিশুদের অংশগ্রহণ চোখে পড়বার মতো৷ এছাড়া সর্বব্যাপী শিক্ষানীতির কারণে ক্যানাডা ও আয়ারল্যান্ডও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে প্রশংসা কুড়িয়েছে৷
জাতিসংঘ বলছে, এই সমস্যার সমাধানে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ অর্থের তিনগুণ বিনিয়োগ প্রয়োজন৷
‘‘অভিবাসীদের শিক্ষাকে গুরুত্ব না দিলে ভবিষ্যতে তার প্রভাব সবার ওপরে এসে পড়বে,'' এমনটাই মনে করেন জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো'র প্রধান অড্রে আজুলে৷
জার্মানির উন্নয়ন মন্ত্রী গের্ড ম্যুলারও এই বিষয়ে সহমত পোষণ করে বলেন, ‘‘বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে উঠে আসা অভিবাসী শিশুদের শিক্ষাখাতে জার্মানি ভবিষ্যতে বিনিয়োগ আরো বাড়াবে৷ বর্তমানে এই খাতে ১৬ মিলিয়ন ইউরো খরচ করা হয়, কিন্তু শীঘ্রই তা বাড়িয়ে ৩১ মিলিয়ন ইউরো করা হবে৷''
বিশ্বের সাড়ে সাত কোটি শিশু বর্তমানে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে বাস করে৷ ফলে এখনই সময় এই শিশুদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় তৎপর হওয়ার, মনে করেন গের্ড ম্যুলার৷
এসএস/এসিবি (এপি/এএফপি)