1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাড়ি চালানোর অনুমতি পাচ্ছেন সৌদি নারীরা

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

প্রথমবারের মতো গাড়ি চালানোর অনুমতি পাচ্ছেন সৌদি আরবের নারীরা৷ বাদশাহ সালমান মঙ্গলবার এই আদেশ জারি করেছেন বলে জানিয়েছে সেদেশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম৷ আদেশ কার্যকর হলে আগামী গ্রীষ্ম থেকে নারীরা গাড়ি চালাতে পারবেন৷

https://p.dw.com/p/2knAw
ছবি: picture-alliance/dpa/EPA/Str

সৌদি আরব বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে এখনো নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই৷ গত কয়েক দশক ধরে গাড়ি চালানোয় নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছেন নারীরা৷ এ পর্যন্ত অনেক নারীকে গাড়ি চালানোর অপরাধে গ্রেফতার বা হয়রানির শিকার হতে হয়েছে৷

১৯৯০ সালে রাজধানী রিয়াদের রাস্তায় প্রথম এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ৫০ জন নারী৷ তখন গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাঁদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে চাকুরিচ্যুতও করা হয়েছিল৷ এরপর ২০১১ সালে গাড়ি চালানোর অপরাধে এক নারীকে ১০ বার বেত্রাঘাত করার নির্দেশ দেয় আদালত৷ তবে প্রয়াত বাদশাহ আব্দুল্লাহ পরে সেই শাস্তি মওকুফ করে দেন৷

সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, নারীদের গাড়ি চালানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে৷ আদেশটি ২০১৮ সালের জুন থেকে কার্যকর হবে৷ বাদশাহ'র এই আদেশ অনুযায়ী, পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও গাড়ি চালানোর লাইসেন্স দেওয়া হবে, এক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য থাকবে না বলেও জানানো হয়েছে৷

এদিকে, নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতিসংক্রান্ত আদেশকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালেদ বিন সালমান৷ তিনি বলেছেন, ‘‘সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷’’

প্রিন্স খালেদ বিন সালমান আরো বলেন, ‘‘গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পাওয়ার জন্য নারীদের তাঁদের পুরুষ অভিভাবকদের অনুমতি নিতে হবে না৷ নারীরা তাঁদের ইচ্ছানুযায়ী যে কোনো জায়গায় গাড়ি চালাতে পারবেন৷’’ সৌদি সরকারের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন৷

গত বছরের নভেম্বরে সৌদি আরবের যুবরাজ আলওয়ালিদ বিন তালাল নারীদের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)