সৌদি আরবে মেয়েদের শারীরিক শিক্ষা
১২ জুলাই ২০১৭মঙ্গলবার সৌদি আরবের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে৷ বিবৃতিতে জানানো হয়, শরিয়া আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মেয়েদের জন্য শারীরিক শিক্ষা চালু করা হবে৷ আরো জানানো হয়, শুরুতেই পুরোদমে চালু করা সম্ভব নয় বলে পর্যায়ক্রমে দেশের সব ছাত্রীকে শারীরিক শিক্ষার আওতায় নেয়া হবে৷ তবে ‘শারীরিক শিক্ষা' বিষয়টি পাঠক্রমের বাইরে ‘ঐচ্ছিক' হিসেবে থাকবে, নাকি বাধ্যতামূলক হবে – বিবৃতিতে তা স্পষ্ট করা হয়নি৷
সৌদি আরবে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য শারীরিক শিক্ষা চালুর প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছিল ২০১৪ সালে৷ কিন্তু শুরা কাউন্সিলের অনুমোদন দেয়ার পরই ধর্মগুরুরা এই উদ্যোগকে ‘পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুকরণ' বলে সমালোচনামুখর হয়ে ওঠেন৷ ফলে তখন আর তা কার্যকর করা যায়নি৷
মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রকাশের পর কট্টর ইসলামপন্থিদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও নারীদের পক্ষ থেকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন৷
লিনা আল-মাঈনা সৌদি আরবে সুপরিচিত নাম৷ শুরা কাউন্সিলের সদস্য তিনি৷ এছাড়া দেশে প্রথম নারীদের ক্রীড়া সংগঠন (জেদ্দাহ ইউনাইটেড বাস্কেটবল ক্লাব)-এরও প্রতিষ্ঠাতা৷ মেয়েদের শারীরিক শিক্ষা প্রদান বিষয়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রসঙ্গে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে তিনি বলেন, ‘‘এ এক ঐতিহাসিক ঘোষণা৷ খেলাধুলার অপর নামই তো ক্ষমতায়ন৷''
সৌদি আরবে নারীদের এখনো গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই৷ বিদেশ ভ্রমণ বা পাসপোর্ট করানোর আগে পরিবারের কোনো পুরুষ সদস্যের অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক৷ সৌদি নারীরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়ও দীর্ঘদিন অংশ গ্রহণ করেননি৷ ২০১২ সালে দেশের প্রথম নারী প্রতিযোগী হিসেবে অলিম্পিকে অংশ নেন দু'জন ক্রীড়াবিদ৷ এরপর ২০১৬ সালের অলিম্পিকে চারজন নারীকে অলিম্পিকে অংশ গ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়৷
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)