1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে ভোট

১৫ নভেম্বর ২০২৩

৭ জানুয়ারি ভোটের দিন চূড়ান্ত করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল৷

https://p.dw.com/p/4YpzQ
(ফাইল ছবি) দ্বাদশ নির্বাচনে ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার৷ছবি: bdnews24

আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি ভোটের তারিখ ঘোষণা করেন৷ ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে তার দেয়া ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার একযোগে সরাসরি সম্প্রচার করেছে৷ তফসিল ঘোষণার ভাষণ সম্প্রচার করেছে দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোও৷

কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ীভোট গ্রহণের তারিখ: ৭ জানুয়ারি, রোববার৷ এদিন সারা দেশের তিনশটি আসনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে ভোটগ্রহণ৷

ভোটের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৫৯২ সহ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি৷

সিইসি জানান, মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন: ৩০ নভেম্বর, মনোনয়ন যাচাই বাছাই করা হবে: ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি: ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর৷ মনোনোয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন: ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ: ১৮ ডিসেম্বর৷

প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রচারের জন্য ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত সময় পাবেন৷

ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা ও নির্বাচনি এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘‘দেশে মোট ভোটার প্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ৷ ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার৷ মোট ২ লাখ ৬২ হাজার বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে৷’’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘‘সংবিধানে জনগণকে ক্ষমতার মালিক ঘোষণা করা হয়েছে৷ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় জনগণের সেই মালিকানা প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে অবাধ, নিরপেক্ষ সংসদ নির্বাচন৷''

দায়িত্ব নেয়ার ২০ মাসের মধ্যে ১৬টি সংসদীয় উপনির্বাচনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে স্থানীয় সরকারের হাজারেরও বেশি নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে বলে জানান তিনি৷

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘‘সংবিধানের ১২৩ (৩ক) অনুচ্ছেদের বিধান মতে সংসদের মেয়াদপূর্তির পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদের সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে৷''

সিইসি বলেন, ‘‘কমিশনও তার আয়ত্ত্বে থাকা সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে এবং সরকার থেকে আবশ্যক সকল সহায়তা গ্রহণ করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার বিষয়ে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করবে৷''

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হলে, ‘‘কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমেই৷ রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে কার্যকরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়, নির্বাচন অধিক পরিশুদ্ধ ও অর্থবহ হয়৷ তাতে জনমতের বিশুদ্ধতর প্রতিফলন ঘটে'', বলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল৷

সব দলকে আচরণ বিধি মনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন সিইসি৷ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখারও আহ্বান জানান তিনি৷ সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সহিংসতার পথ ছাড়ার অনুরোধ জানান সিইসি৷