1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৪৮ ঘন্টার মধ্যে বৈমানিকদের কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ

২৮ অক্টোবর ২০১০

৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ বিমানের পাইলটদের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে৷ বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, ৪৬ জন পাইলট অসুস্থতার কারণে কাজে যোগ দিচ্ছেন না৷ পাইলটদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/PqpY
ছবি: picture alliance/dpa

অন্যথায় শাস্তিমূলক ব্যাবস্থার ঘোষণা দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ৷

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলটদের চাকরির বয়সসীমা, শ্রমঘন্টাসহ ৫ দফা দাবিতে বুধবার থেকে পাইলট এসোসিয়েশনের আন্দোলনের ফলে সৃষ্টি হয় ফ্লাইট সিডিউল জটিলতার৷ পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ক্যাপ্টেন জাকির, মাহতাব, মাকসুদ আর মাহবুবকে ফ্লাইট উড্ডয়ন থেকে প্রত্যাহার করা হয়৷ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক, বলেছেন পাইলট এসোসিয়েশনের নেতারা৷

এরপর থেকে বিমানের পাইলটরা হজ্জ ফ্লাইট ছাড়া অন্য ফ্লাইট পরিচালনা থেকে বিরত থাকছেন৷ পাইলটদের সংগঠন বাপার মহাসচিব ক্যাপ্টেন মাহতাব বলেছেন, তাদের এই কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে৷ বাপার আরেকজন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মাকসুদ বলেছেন, তাদের চেয়ে ৪/৫ গুন বেশি খরচ করা হয় বিদেশী পাইলটদের জন্য অথচ তাদের দাবি মানা হয়না৷

বাপার আন্দোলনের ফলে সৃষ্টি হয় বিমানের ফ্লাইট সিডিউল জটিলতার৷ তবে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এয়ার কমোডর জাকিউল ইসলাম দাবি করেছেন, এখনো কোন ফ্লাইট বাতিল হয়নি৷ তবে তিনি বিমানের বিভিন্ন ফ্লাইট দেরি হওয়ার কথা স্বীকার করেন৷ তিনি জানান, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বিমান উড্ডয়ন থেকে বিরত রয়েছেন ৪৬ জন৷ আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিদেশী পাইলট আনার কথাও জানান তিনি৷ বৈমানিকদের এই কর্মবিরতির কারণে হজ্জ ফ্লাইটের কোনো সমস্যা হচ্ছে না জানিয়ে ব্যবস্থাপনা পারিচালক জানান, এ পর্যন্ত ৫২ হাজার ২৩৯ জন হজ্ব যাত্রী সৌদি আরবের উদ্দেশ্য দেশত্যাগ করছেন৷

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সকল বৈমানিককে কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ৷ বুধবার রাতে বিমানের মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ সভায় সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল জামালউদ্দিন আহম্মেদ৷ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতে, যদি কোনো বৈমানিক এই আদেশ অমান্য করে কাজে যোগ না দেন তবে তার বিরুদ্ধে বিমানের বিধি মোতাবেক ব্যাবস্থা নেয়া হবে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক