ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি
২ অক্টোবর ২০১৪লড়াইটা যে খেলায় আর যে আসরেই হোক, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে জয়-পরাজয়ের চেয়ে বড় হয়ে ওঠে ‘সম্মান'৷ সে হিসেবে ৩২ বছর আগে দিল্লি এশিয়াডে ঘোরতর ‘অসম্মান' হয়েছিল ভারতীয়দের৷ তখনকার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর উপস্থিতিতে ৭-১ গোলের পরাজয়- এমন স্মৃতি কি ভোলা যায়!
ভারত তা ভোলেনি৷ ১৯৯০ সালের বেইজিং এশিয়াডে বদলা নেয়া হয়তো সম্ভব হতো সে আসরে ‘ফাইনাল' বলে কিছু থাকলে৷ কিন্তু মজার ব্যাপার, সেবার প্রতিযোগিতা হয়েছে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে৷ তাই বেশি পয়েন্ট যার, সে-ই সেরা- এ নিয়মে পাকিস্তান পেয়ে যায় সোনার পদক আর ঠিক পেছনে থাকায় ভারতের জোটে রুপা৷
সেই আসরটি ‘ফাইনালহীন' ছিল বলে ঠিক ৩২ বছর পর এবারের ইনচন এশিয়ান গেমস ফাইনালে ভারত আবার পাচ্ছে পাকিস্তানকে৷ বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ আজই ফাইনাল৷ বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি চোখ যে ম্যাচের সময় টেলিভিশনের পর্দায় উৎকণ্ঠা নিয়ে চোখ রাখবে তাতে আর সন্দেহ কী!
এবারের ফাইনালেও পাকিস্তানই ফেবারিট৷ টুর্নামেন্টের প্রাথমিক পর্বে ভারতকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা৷ তাছাড়া এশিয়ান গেমস হকির ফাইনালে ‘ধ্যান চাঁদের দেশ' ভারতের সাফল্য মাত্র দুটি৷ ১৯৬৬ আর ১৯৯৮ সালের আসর দুটি ছাড়া একবারও এশিয়ান গেমসে সোনা জেতেনি তারা৷ বিশ্বের সবেচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিকে যারা আটবার সোনা জিতেছে তাদের জন্য এশিয়াডে মাত্র দুবারের সাফল্য আর এমন কী!
এশিয়াডে পাকিস্তান দারুণ সফল৷ মোট আটবার স্বর্ণপদক গলায় ঝুলিয়েছে তারা৷ এবার নবম স্বর্ণপদকের অপেক্ষা৷ পাকিস্তানের কোচ শাহনাজ শেখ অবশ্য ভারতকে হারানো সহজ মনে করছেন না৷ বিশেষ করে সেমিফাইনালে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা খুব চিন্তায় ফেলেছে তাঁকে৷ সেই ম্যাচ শেষ হয়েছিল গোলশূন্যভাবে৷ টাইব্রেকারে গোলরক্ষক ইমরান বাট প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে না গেলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকমও হতে পারতো৷
ভারতের জন্য সেমিফাইনালই হতে পারে বড় প্রেরণা৷ স্বাগতিক দক্ষিণ কোরিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে তারা৷ ফাইনালে যে জিতবে, সোনার পদক তো জুটবেই, আরো থাকছে রিও ডি জেনিরো অলিম্পিকে সরাসরি অংশ নিতে পারার হাতছানি৷ এমন ম্যাচে জয় কে না চায়? কে চায় রুপার পদক নিয়ে অলিম্পিক হকির বাছাইপর্বের জন্য অপেক্ষা করতে!
এসিবি/জেডএইচ (এএফপি)