1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২০৫০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ২৫ কোটি

২৪ মে ২০১০

বাংলাদেশে জনসংখ্যা পরিস্থিতি বিস্ফোরন্মুখ৷ ২০৫০ সালে মোট জনসংখ্যা হবে ২৫ কোটিরও বেশী৷ তখন অর্ধেক মানুষ বসবাস করবে শহরে – যাকে বিশ্লেষকরা এক অমানবিক পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করছেন৷

https://p.dw.com/p/NVpW
ছবি: Mustafiz Mamun

আর তা নিয়ে কারোর তেমন কোন মাথা ব্যথা নেই৷ পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের একার পক্ষে এই পরিস্থিতি আর মোকাবিলা করা সম্ভব নয়৷

দেশে এখন মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশী৷ এর সঙ্গে প্রতিদিন যোগ হচ্ছে ৭ হাজার নতুন মুখ – যার যোগফল বছরে ২৫ লাখেরও বেশী৷ প্রতি ৪ বছরে বাড়তি জনসংখ্যা হচ্ছে ১ কোটি৷ এই হারে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে জনসংখ্যার চিত্রটি কেমন হবে জানালেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল কাইয়ুম৷ তিনি জানান, তখন জনসংখ্যা কোনভাবেই ২৫ কোটির নীচে হবেনা৷

দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৫ ভাগ৷ তাঁর মতে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে দেশ৷ দেশে এখন মোট জনসংখ্যার ৩০ ভাগ শহরে বসবাস করে৷ এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৫০ ভাগ৷ আর জনসংখ্যা বৃদ্ধির সবচেয়ে বেশী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রাজধানী ঢাকায৷ ঢাকার লোকসংখ্যা হবে ৩ কোটি৷ তখন ঢাকা শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে৷ যেমন বললেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম নুরুন্নবী৷ তিনি মনে করেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে না আনলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে না৷

এখন দেশের সব ধরণের পরিকল্পনা হওয়া উচিত জনসংখ্যাকে মাথায় রেখে৷ বিস্ফারন্মুখ এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানো উচিত৷ প্রয়োজন দেশব্যাপী সর্বাত্মক কর্মসূচী৷ এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন