1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশসুইজারল্যান্ড

২০৫০-এর মধ্যে তেল-গ্যাস শূন্য সুইজারল্যান্ড

১৯ জুন ২০২৩

পরিবেশ বাঁচাতে নতুন জলবায়ু বিলের পক্ষে রায় দিলেন সুইজারল্যান্ডের সাধারণ মানুষ।

https://p.dw.com/p/4Sk5p
পরিবেশপন্থিদের পোসটার, যেখানে বলা হয়েছে,  পুটিনকে বিপর্যস্ত করুন।
পরিবেশপন্থিদের পোসটার, যেখানে বলা হয়েছে, পুটিনকে বিপর্যস্ত করুন। ছবি: Michael Buchholzer/KEYSTONE/picture alliance

এই বিলে ২০৫০ সালের মধ্যে সুইজারল্যান্ডে পেট্রোল-ডিজেলের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্য করার কথা বলা হয়েছে। সেই সময় পুরোপুরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির উপর নির্ভরশীল হবে এই দেশ।

উষ্ণায়নের ফলে সুইজারল্যান্ডে আল্পস হিমবাহের বরফ গলছে। পরিবেশগত বিপর্যয়ের সামনে থাকা এই দেশটি প্রস্তাবিত বিল নিয়ে গণভোটের আয়োজন করে। ৫৯ দশমিক এক শতাংশ মানুষ বিলের পক্ষে রায় দিয়েছেন। দক্ষিণপন্থি সুইস পিপলস পার্টি ছাড়া বাকি সব রাজনৈতিক দল বিলের পক্ষে।

সুইজারল্যান্ডে তেল ও গ্যাসের প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। যার অনেকটাই আসে রাশিয়া থেকে।  বিলে বলা হয়েছে, তেল ও গ্যাসের বদলে বিকল্প শক্তির পথে হাঁটবে সুইজারল্যান্ড। সেজন্য আগামী এক দশকে দুইশ কোটি সুইস ফ্রাঁ খরচ করা হবে। পুরোপুরি গ্রিন এনার্জির দিকে ঝুঁকবে সুইজারল্যান্ড।

হিমবাহ বিশেষজ্ঞ ম্যাথিয়াস হাস টুইট করে বলেছেন, ''আমার ভালো লাগছে যে, মানুষ পরিবেশ বাঁচানোর পক্ষে রায় দিয়েছেন। পরিবেশবিজ্ঞানীদের কথা শুনেছে তারা।''

সোস্য়ালিস্ট পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য ভ্যালেরি ক্যালার্ড বলেছেন, ''ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।''

ভোদাতারা  দ্বিতীয় গণভোটের সময় বহুজাতিক সংস্থার উপর ১৫ শতাংশ হারে পরিবেশ কর চাপানোর সিদ্ধান্তও সমর্থন করেছিলেন। ৭৯ শতাংশের বেশি ভোটদাতা এই পদক্ষেপের পক্ষে।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)