২০২৪-এর ভোটে একা লড়ব, জানালেন মমতা
৩ মার্চ ২০২৩একটা উপনির্বাচনের ফল বড় প্রভাব ফেললো পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে। সাগরদিধির ফলাফল প্রকাশের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়ে দিলেন, ''২০২৪-এর নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস একাই লড়বে। কোনো দলের সঙ্গে জোটে যাবে না।'' আর সাগরদিঘিতে জয়ের পর উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বললেন, ''এই জোটকে স্থায়ী করতে হবে। '' সিপিএমও তৃণমূলকে ঠেকাতে জোটের পক্ষে।
মমতা যা বললেন
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনে হারের পর মমতা বলেছেন, ''তৃণমূলের সঙ্গে মানুষের জোট হবে। আমরা কারো সঙ্গে যাব না। একা লড়ব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে।''
মমতার দাবি, ''সিপিএম ও কংগ্রেস রাজ্যে বিজেপি-র সঙ্গে সেটিং করে নিয়েছে। ওদের মধ্যে জোট আছে। তাহলে সিপিএম ও কংগ্রেস কী করে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়বে? কী করে কংগ্রেস ও সিপিএম নিজেদের বিজেপি-বিরোধী বলে নিজেদের দাবি করে?''
কংগ্রেস ও সিপিএম দুই দলেরই অভিযোগ, তৃণমূল হলো বিজেপি-র বি টিম। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আদতে বিজেপি-কেই সাহায্য করেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার। মমতাও এর আগে সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি-র আঁতাতের কথা বলেছেন। এই তিন দলকে তিনি 'জগাই, মাধাই, গদাই' বলেও উল্লেখ করেছেন।
মমতার অভিযোগ, ''সাগরদিঘিতে সিপিএম ও কংগ্রেস সাম্প্রদায়িক তাস খেলেছে। বিজেপি এই তাস খোলাখুলি খেলে। কংগ্রেস ও বামেরা খেলেছে গোপনে। আমরা সিপিএম ও কংগ্রেসের কথা শুনব না। ওরা বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।''
কিছুদিন আগেও দিল্লিতে এসে বিজেপি-র প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের একজন প্রার্থী দেয়ার কথা বলেছিলেন মমতা। তিনি বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার উদ্য়োগও নিয়েছিলেন। সেই উদ্যোগ খুব একটা সফল হয়নি। এবার তিনি 'একলা চলো'-র ডাক দিলেন।
কংগ্রেস ও সিপিএমের বক্তব্য
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, ''ত্রিপুরায় এই জোট ক্ষমতায় আসতে পারেনি ঠিকই, কিন্তু সাগরদিঘির মানুষ জোটকে মেনে নিয়েছেন। গোটা রাজ্য়ে জোটকে আরো গ্রহণযোগ্য করতে হবে। তাহলেই পঞ্চায়েত ভোটে সাফল্য আসবে।''
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘তৃণমূলকে যাঁরা সমর্থন করেছিলেন, তাঁরা টের পেয়েছেন, রাজ্যের সর্বনাশ হয়েছে। প্রত্যেক দিন নিয়োগ-দুর্নীতির খবর আসে। নগদে, সোনায়, সম্পত্তিতে কোটি কোটি টাকার কারবার ক্রমশ কালীঘাটের দিকে এগোচ্ছে।'' তার দাবি, মানুষ বুঝেছেন, বিভাজন তৈরি করে তাদের ঠকানো হয়েছে।
কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের জোট নিয়ে প্রথম থেকে সোচ্চার ছিলেন আব্দুল মান্নান। সাগরদিঘির ফলের পর তিনি বলেছেন, এই জোট নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। বালিগঞ্জে জোট হলে সেখানেও তারা জিততেন বলে মনে করছেন মান্নান।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, আনন্দবাজার)