২০২২ বার্লিনালের গোল্ডেন ও সিলভার বিয়ারজয়ী চলচ্চিত্র
পর্দা নামলো ৭২ তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের৷ কোন চলচ্চিত্রগুলো বার্লিনালে ২০২২ মাতালো? কারা জিতে নিলো গোল্ডেন বিয়ার ও সিলভার বিয়ার? জানতে পারেন ছবিঘরে৷
গোল্ডেন বিয়ার: আলকারাস
প্রথাগত আর মুনাফামুখী কৃষির দ্বন্দ্ব নিয়ে চলচ্চিত্র ‘আলকারাস’৷ নির্মাণ করেছেন কাতালান পরিচালক কার্লা সিমন৷ এবারই প্রথম কাতালান কোনো চলচ্চিত্র বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কর পেলো৷ ছবিটিতে আলকারাস গ্রামের এক কৃষক পরিবারের গল্প তুলে ধরা হয়েছে৷ সিনেমায় আনকোরা শিল্পীদের অভিনয় বার্লিনালের দর্শক ও বিচারকদের হৃদয় জয় করেছে৷
গ্র্যান্ড জুরি: দ্য নভেলিস্ট’স ফিল্ম
মূল চরিত্রে আছেন একজন লেখক ও একজন চলচ্চিত্র পরিচালক৷ তাদের সাক্ষাৎ এবং নতুন কাজের অনুপ্রেরণার গল্প নিয়ে নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র দ্য নভেলিস্ট’স৷ জুরিদের বাছাইয়ে এবারের বার্লিনালের সেরা চলচ্চিত্র এটি৷ দক্ষিণ কোরিয়ার পরিচালক হুং সাংসু ছবিতে বেশিরভাগ মুহূর্ত তুলে ধরেছেন সাদা, কালোয়৷
জুরি প্রাইজ: রোব অব জেমস
মেক্সিকোর গ্রামীণ জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত ‘রোব অব জেমস’৷ তিনজন নারীর জীবনে পুরুষের সহিংসতার প্রভাব নিয়ে সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে৷ অসাধারণ দৃশ্যায়ন, অভিব্যক্তি আর নিরীক্ষা চলচ্চিত্রটিকে আলাদা করেছে৷ ছবিটি নির্মাণ করেছেন নাটালিয়া লোপেজ গালার্দো৷
সেরা প্রধান চরিত্র ও চিত্রনাট্য
‘রাবিয়ে কুরনাৎস ভার্সেস জর্জ ডব্লিউ বুশ’, চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সিলভার বিয়ার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন মেল্টেম কাপলান৷ জার্মান পরিচালকের নির্মাণ করা চলচ্চিত্রটিতে তিনিই নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন৷ একই মুভির জন্য সেরা চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার পেয়েছেন লাইলা স্টিলা৷
সেরা পার্শ্বচরিত্র
ইন্দোনেশিয়ার চলচ্চিত্রকার কামিলা আনডিনির সিনেমা ‘বিফোর, নাউ অ্যান্ড দেন’ এর গল্প আবর্তিত হয়েছে ১৯৬০-এর দশকের পটভূমিতে৷ এই সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য লরা বাসুকি (ছবিতে উপরে) সেরা পার্শ্বচরিত্রাভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন৷
সেরা পরিচালক
‘বোথ সাইড অব দ্য ব্লেড’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা পরিচালকের খেতাব পেয়েছেন ফরাসি নির্মাতা ক্ল ডেনি৷ ত্রিভুজ প্রেমের গল্পের এই সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুলিয়্যাট বিনোশ ও ভাসোঁ লাদ্যু৷
শিল্পে অসামান্য অবদান
কম্বোডিয়ান পরিচালক রিতি পান তার চলচ্চিত্র ‘এভরিথিং উইল বি ওকে’তে এমন এক বিশ্বের চিত্র এঁকেছেন যেখানে পশুরা পৃথিবীর নেতৃত্ব নেয়৷ চলচ্চিত্র শিল্পে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি পেয়েছে মুভিটি৷
বিশেষ জুরি পদক
আলপাইন অঞ্চলের একটি গ্রামের কঠোর পরিশ্রমী এক ব্যক্তি বিয়ে করেন স্থানীয় এক নারীকে৷ ব্রেন টিউমারের কারণে তার আচরণ ক্রমশ উদভ্রান্ত হয়ে ওঠে৷ সুইস পরিচালক মিশায়েল কখ স্থানীয় অপেশাদার অভিনেতা, অভিনেত্রীদের দিয়ে পাহাড়ী জীবনের অসাধারণ গল্প ধরেছেন পর্দাতে৷ চলচ্চিত্রটি বিশেষ জুরি পদক জয় করেছে৷