1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হোয়াইট হাউসে মাস্ক, ট্রাম্পের মুখে তালা

১২ মে ২০২০

হোয়াইট হাউসে করোনা ধরা পড়ার পর নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য চাপ বাড়ালেও নিজের ঘর সামলাতে না পেরে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷

https://p.dw.com/p/3c3y4
ছবি: Getty Images/W. McNamee

করোনা সংকট যে ঘরের সমস্যা হয়ে উঠবে, এমনটা বোধহয় ভাবতে পারেন নি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ হোয়াইট হাউসে একের পর এক ব্যক্তি আক্রান্ত হবার ফলে বাধ্য হয়ে তাঁকে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে৷ সেখানে সবাইকে মাস্ক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ প্রতিদিন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের পরীক্ষা হচ্ছে৷ অথচ ট্রাম্প নিজে প্রকাশ্যে বা চার দেওয়ালের আড়ালে কিছুতেই মাস্ক পরতে প্রস্তুত নন৷ করোনা সংকটকে লঘু করে দেখিয়ে দেশে ব্যবসাবাণিজ্য আবার চালু করার উদ্যোগের সঙ্গে যে সেই ‘ভাবমূর্তি’ একেবারেই খাপ খাচ্ছে না৷

কিন্তু সেই ‘ভাবমূর্তি’ ভঙ্গুর হয়ে উঠছে৷ হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও শীর্ষ চিকিৎসা কর্মকর্তাদের আর দেখা যাচ্ছে না৷ হোয়াইট হাউসে করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসে তাঁরা সবাই নিজেদের আপাতত বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন৷ প্রেসিডেন্টকে নিরাপদ রাখতে সবাই তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে৷ ট্রাম্প পেন্সের সঙ্গে শুধু টেলিফোনে কথা বলছেন৷ ট্রাম্পের জামাই ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারও মাস্ক পরে থাকছেন৷

খোদ হোয়াইট হাউসে যখন এমন পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে, তখন গোটা দেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বদলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ট্রাম্পের চাপ অত্যন্ত দৃষ্টিকটু হয়ে উঠছে৷ ট্রাম্পের অন্যতম উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেট রবিবার বলেন, হোয়াইট হাউসে কাজ করতে যাওয়া ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছে৷ ছোট জায়গায় ভিড়ের মধ্যে কাজের ঝুঁকি সম্পর্কে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন তিনি৷

এদিকে ট্রাম্প প্রায় দুই মাস ধরে গোটা দেশকে আশ্বাস দিয়ে চলেছেন, যে সবার জন্য করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে৷ অথচ বাস্তবে এমন পরীক্ষার সুযোগ খুবই সীমিত৷ রাজ্যের গভর্নররা ফেডারেল সরকারের উদ্দেশ্যে আরও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের জরুরি আবেদন করে চলেছেন৷ তাঁদের মতে, পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছাড়া আবার সবকিছু চালু করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হবে৷

সোমবার ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে দুই সাংবাদিকের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন৷ ট্রাম্প বার বার করোনা ভাইরাস পরীক্ষার প্রশ্নে অ্যামেরিকার ‘সাফল্য’ তুলে ধরার চেষ্টা করায় সিবিএস নেটওয়ার্কের এক চীনা বংশোদ্ভূত সাংবাদিক দেশে মৃত্যুলীলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷ তার জবাবে ট্রাম্প এমন পরিস্থিতির দায় চীনের উপর চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করেন৷ সিএনএন নেটওয়ার্কের এক সাংবাদিককে উপেক্ষা করে তর্কে জড়িয়ে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ তারপর আচমকা সংবাদ সম্মেলন ছেড়ে চলে যান তিনি৷

এসবি/কেএম (এপি, রয়টার্স)

২০১৬ সালের ছবিঘরটি দেখুন...