হোফ চলচ্চিত্র উৎসবে ‘রাকিব খান’
১ নভেম্বর ২০১২আফগানিস্তানে কর্মরত দুই সৈনিকের জীবন নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র ‘সাইড বাই সাইড'৷ এতে এক জার্মান সৈনিক এবং এক আফগান সৈনিকের জীবনের নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ দু'জন ভিনদেশি হলেও অনেক মিল আছে তাদের জীবনে, আছে অমিলও৷ এই ছবির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে ডয়চে ভেলেকে শাহীন বলেন, ‘‘ছবিটায় আফগান যুদ্ধ নিয়ে কোনোরকম আলোচনা হয়নি৷ বরং ছবিটায় আমরা চেষ্টা করেছি, দুটি চরিত্রকে যতটা সম্ভব কাছে থেকে দেখার৷''
‘সাইড বাই সাইড' তৈরি করতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিজীবনের অভিজ্ঞতাকেও কাজে লাগিয়েছেন শাহীন৷ ছোটবেলায় ক্যাডেট কলেজে লেখাপড়া করেছেন তিনি৷ সে সময় সৈনিকদের সঙ্গে মেশার সুযোগ হয়েছিল তাঁর৷ শাহীন বলেন, ‘‘আমি ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেছি৷ সৈনিকদের সঙ্গে আমার একটি অন্যরকম সম্পর্ক ছিল৷ যুদ্ধের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের অবস্থা কি, সেটা আমি জানতে চেয়েছি৷''
শাহীনের এই ছবিটি আগামী ২৬ নভেম্বর জার্মান টেলিভিশনে প্রচার হবে৷ বাংলা কোনো চ্যানেলে এটি প্রচারে কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই তাঁর৷ তবে ঢাকার কোনো চ্যানেল যদি আগ্রহ দেখায়, তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করবেন তিনি৷
‘সাইড বাই সাইড' ছবির পাশাপাশি আরো একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি নির্মাণ করেছেন শাহীন৷ নাম ‘রাকিব খান'৷ চাঁদপুরের এক কিশোরকে নিয়ে তৈরি এই ছবিটিও প্রদর্শিত হয়েছে হোফ চলচ্চিত্র উৎসবে৷ শাহীন এই বিষয়ে বলেন, ‘‘এটি একটি ছোট্ট ‘পোর্টরে'৷ দশ বছর বয়সি রাকিব চাঁদপুরের একটি প্রেক্ষাগৃহে প্রজেক্টশোনিস্ট হিসেবে কাজ করে৷ মূলত ছেলেটির দৈনন্দিন জীবনযাপন, তার মেজাজ-মর্জি, তার পরিবারের ভেতরকার বিভিন্ন বিরোধ, ভাইবোনের মধ্যকার বিরোধ- এসবই ছবিটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷''
প্রসঙ্গত, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার জয় করেছেন শাহীন দিল রিয়াজ৷ তাঁর নির্মিত লোহাখোর, কোরান সন্তান, জীবন জলেবেলে'র মতো তথ্যচিত্রগুলো জার্মানির বিভিন্ন টেলিভিশনেও একাধিকবার প্রদর্শিত হয়েছে৷ বর্তমানে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একটি ছবি তৈরির পরিকল্পনা করছেন শাহীন৷ ২০১৪ সাল নাগাদ শেষ হবে এই ছবির কাজ৷