হুগলিতে গাছে ঝোলানো বিজেপি কর্মীর দেহ, উত্তেজনা
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০হুগলির গোঘাট থেকে সুন্দরবনের বাসন্তী, রাধানগর রাজনৈতিক হিংসায় কাঁপছে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। গোঘাটে স্টেশনের কাছে একটি গাছ থেকে ঝুলতে দেখা যায় এক বিজেপি কর্মীর দেহ। তাঁর পরিবার ও বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছে। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। রাতে ফেরেননি। রোববার তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এরপর বিজেপি রাস্তা অবরোধ করে। পুলিশ এসে অবরোধ সরায়। লাঠি চালায়। পরে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের একটি অফিসে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ''রোজই তৃণমূলের হাতে বিজেপি নেতা, কর্মী খুন হচ্ছেন। বাম আমলে খুন করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হতো। তৃণমূল মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেয়।''
তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের জবাব, ''বিজেপি সমানে মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে। আর দলের নেতারা জ্বালিয়ে দেব, পুড়িয়ে দেব বলে হুমকি দিচ্ছে।''
গোঘাটে গোলমালের খবর করতে গিয়ে সাংবাদিকরাও আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের আক্রমণে তাঁরা আহত হয়েছেন। তৃণমূল বলেছে, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
সুন্দরবনের রাধানগর থানা এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এই সংঘর্ষের জের আছড়ে পড়ে থানাতেও। ছয়জন পুলিশ কর্মী আহত হন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় এবং শূ্ন্যে গুলি ছোড়ে। বিজেপি-র দাবি, রাধানগর গ্রামে তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙছিল ও কর্মীদের মারছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পাঁচজন তৃণমূল কর্মীকে ধরে নিয়ে যায়। তখন তৃণমূল কর্মীরা থানায় চড়াও হয়। তৃণমূল অবশ্য সব দায় বিজেপির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাসন্তীতে তৃণমূলের এক নেতা গুলিবিদ্ধ হন। অভিযোগ, তিনি গোষ্ঠীসংঘর্ষের শিকার। এরপর বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতে তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শুক্রবার রাত থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই পক্ষের চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
জিএইচ/এসজি(আবাপ, ২৪ ঘণ্টা)