1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিমাচলে বিজেপির ‘অপকৌশলে’ কংগ্রেস সরকার সংকটে

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

কংগ্রেসের ছয়জন বিধায়ক এখন বিজেপি-র সঙ্গে। তিন নির্দলও বিজেপি-কে সমর্থন করছেন। ইস্তফা দিয়েছেন প্রভাবশালী মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং।

https://p.dw.com/p/4cyTv
হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু।
হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু কি সরকার বাঁচাতে পারবেন?ছবি: Salman Ali/Hindustan Times/Sipa USA/picture alliance

বৃহস্পতিবার রাজ্যসভা নির্বাচন ছিল। হিমাচলে ৬৮ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়কসংখ্যা ৪০। বিজেপি-র ২৫ জন বিধায়ক আছে। তিনজন নির্দল বিধায়ক আগে কংগ্রেসের সরকারকে সমর্থন করছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার কংগ্রেসের ছয়জন ও তিন নির্দল বিধায়ক বিজেপি-র প্রার্থীকে ভোট দেন। এই বিধায়কদের বিজেপি পরে হেলিকপ্টারে করে পাঁচকুলায় নিয়ে যায়। বুধবার ছয় কংগ্রেসি ও তিন নির্দল বিধায়ক অবশ্য আবার সিমলায় পৌঁছেছেন।  

কংগ্রেসের সংকট আরো বাড়িয়ে দিয়ে প্রয়াত সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং-এর ছেলে বিক্রমাদিত্য সিং মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু-র প্রবল সমালোচনা করেছেন। বিক্রমাদিত্য সিং ও তার মা প্রতিভা সিং গোড়া থেকেই সুখবিন্দরকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চাননি।

বিজেপির দাবি

রাজ্যসভা নির্বাচনে জেতার পরই বিজেপি দাবি তুলেছে, সুখবিন্দর সিং সুখুকে পদত্যাগ করতে হবে। তাদের কাছে সরকার গঠনের মতো গরিষ্ঠতা আছে। তাদের সরকার বানাতে দিতে হবে। 

তারা দাবি করেছে, অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীকে বিধানসভায় আস্থা ভোট নিতে হবে। 

স্পিকারের সিদ্ধান্ত

বিধানসভার স্পিকার ইতিমধ্যে ১৫ জন বিজেপি বিধায়ককে বিধানসভা থেকে বহিষ্কার করেছেন। তারা স্পিকারের চেম্বারে গিয়ে স্লোগান দিয়েছিলেন, অসদাচরণ করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। 

এখন বিধানসভা ডেকে ভোটাভুটি করলে ওই বিজেপি বিধায়করা ভোট দিতে পারবে না। সেক্ষেত্রে ২৭ জন বিধায়কের সমর্থন থাকলেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী। 

বিজেপি-র সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর জানিয়েছেন, স্পিকার সংবিধান-বিরোধী কাজ করেছেন। 

স্পিকার কংগ্রেসের ছয় বিধায়ককে নোটিশ দিয়ে জানতে চেয়েছেন, দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুসারে কেন তাদের বিধায়কপদ খারিজ হবে না?

কংগ্রেসের কৌশল

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কর্ণাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার, ছত্তিশগড়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং হরিয়ানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র হুডাকে সিমলা পাঠিয়েছেন। 

খাড়গে তাদের বলেছেন, সব বিধায়কের সঙ্গে কথা বলুন। ক্রস ভোটিং এখন অতীত। এখন অপারেশন লোটাসকে ব্যর্থ করতে কী পদক্ষেপ দরকার তা তারা খাড়গেকে জানাবেন। 

কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি একই কাজ কর্ণাটকেও করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সেই কাজে সফল হয়নি। 

কর্ণাটকে উল্টে বিজেপি-র এক বিধায়ক কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। একজন ভোটদানে বিরত ছিলেন। ফলে কর্ণাটকে বিজেপি-র ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে সফল হয়েছে কংগ্রেস। তাদের তিনজন প্রার্থীর জেতার কথা ছিল। তিনজনই জিতেছেন। কর্ণাটকে ভোট শেষ হওয়ার পরই ডি কে শিবকুমারকে হিমাচলে পাঠিয়েছেন খাড়গে। 

জিএইচ/এসিবি (পিটিআই, এএনআই)