1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘হিটলারের ঘণ্টা' রাখার পক্ষে জার্মানিতে ভোট

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

স্থানীয় একটি গির্জায় নাৎসি আমলের (হিটলারের নাম লেখা) একটি ঘণ্টা রেখে দেয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির হেরসাইম আম ব্যার্গ শহরের কাউন্সিলররা৷ এর ফলে কট্টরপন্থি দলগুলোর আরো উত্থান হবে বলে আশংকা স্থানীয়দের৷

https://p.dw.com/p/2tOhi
Bronzeglocke mit Hakenkreuz
ছবি: picture alliance/dpa/U. Anspach

সোমবার রাতে দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির ছোট্ট গ্রামটিতে নাৎসি আমলের এই ঘণ্টাটি রাখার পক্ষে ভোট দেন ১০ জন কাউন্সিলর, বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র তিনজন৷ ঘণ্টায় লেখা রয়েছে, ‘পিতৃভূমির জন্য সবকিছু–আডলফ হিটলার', যেটি এখন ঐ গির্জায় ঝুলবে৷

হাইডেলবার্গ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে হেরসাইম আম ব্যার্গ গ্রাম৷ পক্ষে ভোট দেয়া কাউন্সিলরদের বক্তব্য হলো, ঘণ্টায় সস্ত্বিকা চিহ্ন রয়েছে, যেটা সেই সময়ের সহিংসতা আর অন্যায়ের কথা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেবে এবং মানুষকে অহিংস হওয়ার পথে উদ্বুদ্ধ করবে৷

তবে বেশ কিছু বাসিন্দা এর প্রতিবাদ করে ঘণ্টাটিকে নষ্ট করে ফেলার আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ স্থানীয় এক প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চ নতুন একটি ঘণ্টা লাগানোর খরচ বহন করার প্রস্তাবও দিয়েছিল৷

১৯৩৪ সাল থেকে ঐ চার্চে এই ঘণ্টাটি ঝুলছে৷ এতদিন ঘণ্টাটির কথা কারো খেয়ালই হয়নি৷ সম্প্রতি চার্চের এক প্রাক্তন অর্গ্যান বাদক সিগরিদ পেটার্স ঘণ্টার উপর লেখা নিয়ে অভিযোগ তোলেন৷ আর তারপরই বিষয়টি সবার নজরে আসে৷ সংবাদ সংস্থা ডিপিএকে সিগরিদ বলেছেন, ‘‘আমি কখনোই চাইবো না এমন একটি স্থানে কোনো শিশুর ব্যাপটিজম হোক, যেখানে লেখা থাকবে ‘পিতৃভূমির জন্য সবকিছু'৷''

অনেক বাসিন্দাই মনে করেন, এই ঘণ্টাটি এত সুন্দর চার্চটির মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে এবং এর অস্তিত্ব নাৎসিপন্থি দলগুলোর কর্মকাণ্ডকে আরও উৎসাহিত করবে৷  তবে অন্য পক্ষের যুক্তি হলো, এর অপসারণ শহরের ইতিহাসকে ঢেকে ফেলার শামিল৷

 নাৎসিপন্থি ঘটনার জের ধরে এই শহরের সাবেক মেয়রকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল৷ তিনি বলেছিলেন,  নাৎসি আমলের সবকিছু খারাপ ছিল না৷ তার এই মন্তব্যে এতটাই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় যে, তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন৷

কয়েক মাস আগেও চার্চে ঘণ্টা রাখা হবে কিনা, এ নিয়ে ভোটাভুটিতে ‘না'-এর পক্ষেই মতামত দিয়েছিলেন বেশিরভাগ মানুষ৷

এপিবি/এসিবি (নিক মার্টিন/ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান