হারিছ চৌধুরী লন্ডনে মারা গেছেন
১২ জানুয়ারি ২০২২হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে তার ফেসবুকে নিজের ও হারিছ চৌধুরীর ছবি দিয়ে লেখেন, ‘ভাই বড় ধন, রক্তের বাঁধন'৷
বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলোকে বুধবার সংবাদটি আবারও নিশ্চিত করেন আশিক উদ্দিন চৌধুরী৷ তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে যুক্তরাজ্যে হারিছ চৌধুরী মারা যান৷ তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৮ বছর৷ স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি৷ হারিছ চৌধুরীর দাফন যুক্তরাজ্যেই সম্পন্ন হয়েছে৷
হারিছ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে আশিক চৌধুরীর দাবি৷ তিনি জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরার পরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ গত সেপ্টেম্বর মাসের দিকে তিনি যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান৷ এত দেরিতে হারিছ চৌধুরীর মারা যাওয়ার খবর প্রকাশের কারণ সম্পর্কে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘‘যারা জিজ্ঞেস করেন, তাদের বিষয়টি জানিয়েছি৷ হারিছ চৌধুরীর খোঁজখবর রাখার মতো কেউ নেই৷ এ জন্য বিষয়টি এতদিন জানাজানি হয়নি৷'
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর যাবজ্জীবন সাজা হয়৷ সে বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়৷ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামিও ছিলেন হারিছ চৌধুরী৷
এনএস/জেডএইচ (প্রথম আলো)