হারিকেন ওটিসে মেক্সিকোয় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯
২৯ অক্টোবর ২০২৩মেক্সিকো সরকার শনিবার জানিয়েছে যে, ওটিসের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ এ পৌঁছেছে৷ নিহতদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং বাকিরা নারী৷ ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সশস্ত্র বাহিনীর আট হাজারের বেশি সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে৷
ক্যাটাগরি পাঁচ মাত্রার সামুদ্রিক ঝড়টি গত বুধবার ঘণ্টায় ২৬৬ কিলোমিটার বেগে আকাপুলকোতে আঘাত হানে৷ সেসময় বন্যার পাশাপাশি অনেক বাড়ির ছাদ উড়ে যায় এবং যানবাহন পানিতে ডুবে যায়৷ স্থানীয়রা তাদের প্রিয়জনদের খোঁজ নিতে পারছেন না যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়৷
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপকূলীয় শহরটির দুই লাখ ২০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি এবং ৮০ শতাংশ হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন আছেন পাঁচ লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষ৷
হারিকেন ওটিসে ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে ১৫০০ কোটি মার্কিন ডলার বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ পাঠানো শুরু হয়েছে৷
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওবরাডোর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করা ২৪ মিনিটের এক ভিডিওতে সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন৷ তিনি সেখানে তার বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছেন, হারিকেনের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাচ্ছে তারা৷ দেশটিতে আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷
‘‘তারা শকুনের মতো ঘুরছে, মানুষের যন্ত্রণা নিয়ে তারা ভাবছে না, তারা আমাদের আঘাত করতে চায় কারণ সেখানে অনেক প্রাণহানি হয়েছে,'' বলেন তিনি৷ হারিকেন পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতীতের অন্য যেকোনো সরকারের চেয়ে তার সরকার বেশি কাজ করছে, এমন দাবি করেন তিনি৷
গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা বাড়িয়ে বলছে বলেও দাবি করেন তিনি৷ নিরাপত্তামন্ত্রী রোজা আইসলা রদ্রিগেজ জানিয়েছেন, ঝড়ের পর থেকে ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন৷
কেউ কেউ অবশ্য বলছেন যে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আকাপুলকোর মানুষের সহায়তায় পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেয়নি সরকার৷ কারণ সেখানকার মানুষকে এখনো খাদ্য ও পানীয় জল পেতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে৷
৩১ বছর বয়সি শিক্ষক কার্লোস দিয়াস বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘কোনো সহায়তা আসেনি৷ আমরা একা পড়ে আছি, সরকারের কোনো চিহ্ন কোথাও নেই৷''
মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে এখন অবধি আঘাত হানা ঝড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল হারিকেন ওটিস৷ এটি ধারনার চেয়েও বেশি গতিতে আঘাত হানে৷
এআই/এফএস (এএফপি, এপি, রয়টার্স)