1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হামাস এবং ফতার ইঁটের বদলে পাটকেল নীতি

অরুণ শঙ্কর চৌধুরী২ আগস্ট ২০০৮

গাজ়া স্ট্রিপে একটি বোমা বিষ্ফোরণ থেকে যার শুরু, হামাস এবং ফতার সেই পারষ্পরিক গ্রেফতার অভিযান এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে বসেছে৷

https://p.dw.com/p/EoqD
গাজ়ার বিষ্ফোরণে নিহত কিশোরীর দেহ নিয়ে শোকার্তরাছবি: AP

এক সপ্তাহ আগে গাজ়া স্ট্রিপে একটি বোমায় প্রাণ হারায় হামাসের সামরিক শাখা এজ়েদিন আল-কাসাম ব্রিগেডের পাঁচজন সদস্য এবং সেই সঙ্গে এক কিশোরী৷ অতঃপর হামাস গাজ়া স্ট্রিপ জুড়ে ফতা সমর্থকদের ধরপাকড় শুরু করে৷ গ্রেফতার হয় প্যালেস্তিনীয় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রায় ১৬০ জন অনুগামী৷ ফতা প্রথমতঃ ঐ বোমা বিষ্ফোরণের সঙ্গে যে কোনো রকমের সংযোগ অস্বীকার করে, এবং দ্বিতীয়তঃ, হামাসের অভ্যন্তরীণ কোঁদলকে ঘটনাটির জন্য দায়ী করে৷ তৃতীয়তঃ, স্রেফ ইঁটের বদলে পাটকেল নীতি অনুসরণ করে তাদের এলাকায়, অর্থাত্ পশ্চিম জর্ডানে শ’খানেক হামাস সদস্যকে গ্রেফতার করে৷

চৈতন্য ফিরতেও বিশেষ দেরী হয় না, অন্ততঃ ফতার তরফে৷ আব্বাস নাকি বৃহষ্পতিবার রাত্রেই তাঁর নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দ্দেশ দেন, সব গ্রেফতারকৃত হামাস সদস্যদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য৷ প্যালেস্তিনীয় মা'ন সংবাদ-সংস্থা খবর দেয়, যে সব না হলেও, অন্ততঃ চারজন হামাস সদস্যকে শুক্রবার রাত্রে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ আরে বড় কথা, তাদের মধ্যে আছেন মুহম্মদ গজ়ল, একজন বিশিষ্ট হামাস সদস্য, যাঁকে তার আগের রাত্রে নাবলুসে ধরা হয়েছিল৷

নাছোড়-বান্দা

একদিকে তো ধৃত ব্যক্তিদের তরফ থেকে তাদের মুক্তি প্রাপ্তির কোনো স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি৷ বরং উল্টো করে খবর এসেছে, যে আব্বাসের নির্দ্দেশ সত্ত্বেও প্যালেস্তিনীয় কর্ত্তৃপক্ষ বৃহষ্পতিবার রাত্রেই ধরপাকড় চালিয়েছে, যথা হামাস নেতৃপরিষদের সদস্য মুহম্মদ গজ়লকে ঐ রাত্রেই গ্রেফতার করা হয়েছে৷

এখন পশ্চিম জর্ডানে ফতা বিশজনকে ছাড়ল, আর ক’জনকে ধরে রাখল, সে হিসেবের মধ্যে না গিয়ে হামাস শুক্রবার তাদের যুক্তিটা আরো জোরদার প্রমাণ করেছে গাজ়া স্ট্রিপে আব্বাসের কয়েকজন উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিকে বস্তুতঃ পণবন্ধী করে৷ হামাস গ্রেফতার করেছে আবু আন-নাজা এবং জ়াকারিয়া আল-আগাকে, হামাস গাজ়া স্ট্রিপের দখল নেওয়ার পর আব্বাস যাদের অকুস্থলে ফতার দেখাশোনার ভার দিয়েছিলেন৷ আর ধরা হয়েছে আব্বাসের নিযুক্ত তিনজন প্রাদেশিক গভর্নরকে৷ হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জ়ুরি স্পষ্টই বলেছেন, যে এই সব গ্রেফতারীর উদ্দেশ্য হল, পশ্চিম জর্ডানে হামাস সদস্যদের মুক্তির জন্য ফতার উপর চাপ সৃষ্টি করা৷

উতোর-চাপান

আব্বাসের অনুগামীদের বিরুদ্ধে জ়ুরির অভিযোগ, যে তারা হামাসকে লিকুইডেট, অর্থাত্ খতম করার চেষ্টা করছে৷

অপরদিকে পশ্চিম ব্যাঙ্কের এক ফতা নেতা হুসেইন শেখ বলেছেন, যে হামাস গাজ়া স্ট্রিপে একটি গুন্ডার দলের মতো আচরণ করছে৷

ফতা আধিকারিক আবদাল্লা আবদাল্লা পুরো ঘটনাবলীকে একটি আপত্‌কালীন তাত্‌পর্য্য দিয়েছেন এই বলে, যে এর অর্থ হামাস এবং ফতার প্রতি তাদের বিভেদ ঘোচানোর জন্য আরব তথা প্যালেস্তিনীয় আকুতির সলিলসমাধি৷

তাহলে ব্যাপারটা ভেবে দেখার মতো বৈকি৷