হাইতিতে ১০ মিশনারির বিচার কাজ শুরু
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০এই বিচারের শুনানিতে ১০জনকে যখন নিয়ে আসা হচ্ছিলো, তাদের অনেকেই তখন জ্যাকেট দিয়ে নিজেদের মুখ ঢেকে রাখছিলেন৷ উত্তেজিত জনতার কেউ কেউ মিশনারিদের বহনকারী গাড়ির উপর নিক্ষেপ করেছে পাথর৷
ঐ দশ মিশনারির আইনজীবী এডউইন কক শিশু পাচার এবং অপরাধকর্মের জন্য গত বৃহস্পতিবার পাঁচ পুরুষ এবং পাঁচ নারী মিশনারির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে হাইতির সরকার অভিযোগ দায়ের করেছে বলে বার্তা সংস্থাগুলোকে জানিয়েছেন৷ তবে আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকরা জনান, শুনানি চলাকালে ঐ ১০ ব্যক্তিকে প্রথমে প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছিলো৷ কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা জানার পর ওই ১০ মার্কিনি হতবাক হয়ে যান এবং অনেকটা দু:খে মাথা নিচু করে ফেলেন৷
প্রায় এক সপ্তাহ আগে ডমিনিকান রিপাবলিক সীমান্ত থেকে তাদের আটক করে পুলিশ৷ এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল ৩৩টি শিশু৷ গ্রেপ্তারের পর ঐ ১০ ব্যক্তিকে এক সপ্তাহের পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে রাখা হয়৷ জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, বৈধ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া এই শিশুদের হাইতি থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা অপরাধ করেছেন৷ ১০ মার্কিনির একজন পল রবার্ট থমসন আদালতে বলেন, আমরা যা করছিলাম তা যে অবৈধ - সেটা আমরা জানতাম না৷ তবে এখন তাদেরকে আবারো দীর্ঘ সময়ের জন্য পুলিশি রিমান্ডের মুখোমুখি হতে হবে৷ তাদের দলনেতা লরা সিলসবি শুনানিকালে বলেন, আমরা শিশুদের সাহায্য করতে চেয়েছিলাম৷ তাদের মুক্তি দান এবং হাইতির মানুষদের সাহায্য করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান তিনি৷
বিচারের রায়ে যদি এই ব্যক্তিরা দোষী সাব্যস্থ হন তাহলে হাইতির আইন অনুযায়ী তাদেরকে ৯ বছরের কারা ভোগ করতে হতে পারে৷ তবে কোন কোন মহল থেকে দাবি উঠেছে ধৃত মার্কিনিদের বিচার যুক্তরাষ্ট্রে করা হোক৷ কিন্তু হাইতি তার বিরোধী৷ হাইতির বিচারমন্ত্রী পল ডেনিস বার্কা সংস্থা এ এফপিকে জানিয়েছেন, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক৷ হাইতির আইন ভঙ্গ করেছেন ঐ দশজন৷ আর এই বিচার হাইতির আদালতে হবে এটাই স্বাভাবিক৷ এই বিচারের দায়িত্ব হাইতির, বলেন তিনি৷
গত ১২ই জানুয়ারি হাইতিতে সংগঠিত হয় ভয়াবহতম ভূমিকম্প৷ এই ভূমিকম্পে নিহত হন অন্তত ২ লাখ ১২ হাজার মানুষ৷
প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক