গত জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন রুপ নেয় অভ্যুত্থানে। পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র প্রতিনিধিদের কেউ কেউ এখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা। তাদের ‘পছন্দের' মানুষদের নিয়ে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকারের সাড়ে ৫ মাস পর আবার কেন দেখতে হলো কোটা বাতিলের আন্দোলন?
গত রবিবার দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।এরপর থেকেই মেডিকেলে ভর্তিতে কোটার বিষয়টি সামনে আসে। আন্দোলনকারীদের দাবি, মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব ‘অযৌক্তিক' কোটা বাতিল করে মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃপ্রকাশ করতে হবে। এই দাবিতে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে স্মারকলিপিও দেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমরা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের ‘মেডিকেল/ডেন্টাল কলেজে এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৫' অনুসরণ করেছি। সেখানে হাইকোর্টের রায় ও সরকারের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনের আলোকেই কোটা রাখা হয়েছে। আমরা তাই করেছি। সরকার এ বিষয়ে ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত দিলে আমরা সেটা প্রতিপালন করবো।”
ডা. রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, "আমরা কোটায় উত্তীর্ণদের প্রমাণাদি যাচাই করবো। আসলেই তারা সংশ্লিষ্ট কোটার উপযোগী কিনা। এজন্য আমরা ২৩ ও ২৬ জানুয়ারি পিছিয়ে পড়া পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর কোটায় নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রমাণাদিসহ অধিদপ্তরে ডেকেছি। মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত আসনে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের কোটার সপক্ষে সনদ/প্রমাণকসহ ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ডেকেছি। প্রমাণাদি যাচাই করে ঠিক পাওয়া গেলে ভর্তির সুযোগ পাবে, না হলে পাবে না। আমার ধারণা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যে ১৯৩ জন টিকেছে তাদের মধ্যে কাগজপত্র যাচাইয়ে ১০০ জনও টিকবে না।”
২০২৪-২৫ সালের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত ১৯৩ জনের ভর্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৪-২৫ সালের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত ১৯৩ জনের ভর্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করার কথা জানায়৷