হাঁসখালি থানায় সিবিআই দল
১৪ এপ্রিল ২০২২হাঁসখালিতে কি সত্যিই ভয়ের আবহ আছে? ধর্ষণ-কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা কী? এই সমস্ত প্রশ্ন সামনে রেখে বুধবার রাতে হাঁসখালিতে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাসিবিআইয়ের একটি দল। চার সদস্যের দলে দুইজন নারী অফিসার আছেন। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার কথা তাদের।
বুধবার রাতে হাঁসখালি থানার পুলিশের সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টা কথা বলেন সিবিআই অফিসাররা। তার আগে ঘটনার এফআইআর চেয়ে পাঠানো হয়। এফআইআর-এ কোন কোন ধারায় মামলা করা হয়েছে, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হয়। সূত্র জানাচ্ছে, এফআইআর-এ খুন, ধর্ষণ, তথ্য প্রমাণের ধারা ঢুকিয়েছে সিবিআই। এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখেই মামলা করা শুরু করা হয়েছে বলে সিবিআই-এর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তারা হাঁসখালির শ্মশান থেকে কয়েক টুকরো হাড় পেয়েছেন। সেগুলি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই হাড় থেকেও মৃত্যুরহস্য সম্পর্কে বাড়তি তথ্য পাওয়ার আশা করছেন তদন্তকারীরা।
ঘটনার পাঁচদিন পর কেন পুলিশকে জানানো হলো, এই প্রশ্নটিরও অন্বেষণ করা হচ্ছে। নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করেছেন, তার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে মেয়ের মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যাওয়ার সময় মৃতদেহটি মাদুরে জড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। নির্যাতিতার এক দাদা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, প্রতিদিন হুমকির মুখোমুখি হতে হচ্ছিল তাদের। গ্রামে সিবিআই চলে আসায় এখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত বোধ করছেন তারা।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার)