1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হস্তান্তরের পরেও উত্তপ্ত গাজা

১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৫

বিতর্কিত গাজা ভূখন্ড থেকে ইহুদি বসতি তুলে নিয়ে গাজার দখল প্যালেস্টাইনের হাতে তুলে দিয়েছে ইজরায়েল৷ কিন্তু গাজাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক জলঘোলা এখনও চলছে৷ শারোণ এবং আব্বাস উভয় নেতাকেই এখন সামলাতে হচ্ছে অভ্যন্তরীণ সমস্যা৷

https://p.dw.com/p/DPtz
ছবি: AP

মধ্যপ্রাচ্যের দুই নেতাই এখন মহাসংকটে৷ দীর্ঘ পথচলার পর গাজাভূখন্ডের হস্তান্তর সম্ভবপর হলেও সমস্যা যে পুরোদস্তুর হাল করা গেছে সেকথা বলা যাবে না৷ ইজরায়েলের অভ্যন্তরে গাজা থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়া ইহুদি বসতিস্থাপনকারীদের অভিযোগ আন্দোলন নিয়ে রীতিমতো উত্যক্ত ইজরায়েলী প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল শারোণ৷ পাশাপাশি প্যালেস্টাইনের অভ্যন্তরে আবার প্যালেস্টাইনি জঙ্গীদের নিয়ে উত্যক্ত প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস৷

তবে গাজার হস্তান্তরের ঐতিহাসিক ঘটনা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়ে যাওয়ায় প্যালেস্টাইনের অভ্যন্তরের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে এখন খুশির বাতাবরণ৷ জায়গায় জায়গায় বিভিন্ন সময়ে আনন্দিত প্যালেস্টাইনি নাগরিকদের এই হস্তান্তরকে ঘিরে সমাবেশে অংশগ্রহণ করে দেখা যাচ্ছে৷ যদিও ক্ষেত্রবিশেষে সেখানেও যে সমস্যা মাথাচাড়া দিচ্ছে না এমনটা নয়৷ এই যেমন গতকাল, হস্তান্তরিত গাজার নেভে ডেকালিম এলাকায় একটি আনন্দ মিছিলে এক প্যালেস্টাইনি শিল্পীর সঙ্গীত পরিবেশন চলাকালীন হঠাত্ করেই প্যালেস্টাইনি জঙ্গী সংগঠন হামাসের এক জঙ্গী শিল্পীর হাত থেকে মাইক্রোফোনটি কেড়ে নিয়ে ইজরায়েল বিরোধী ভাষণ শুরু করে দেয়৷ আক্রান্ত শিল্পীকে জঙ্গীদের কবল থেকে বাঁচাতে প্যালেস্টাইনি পুলিশ শূণ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে মুহূর্ত্তে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আনন্দমিছিলে অংশগ্রহণকারী প্রায় হাজার তিনেক জনতা৷ পুরো এলাকাটি কিছুক্ষণের মধ্যেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়, ছড়িয়ে পড়ে বিশৃঙ্খলা৷

প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের বিরুদ্ধে শারোণের অভিযোগের মূল সুরই হলো এটা৷ যাতে প্যালেস্টাইনের জঙ্গী সংগঠনগুলিকে দমন বা তাদের নিরস্ত্র করার ক্ষেত্রে আব্বাসের চরম ব্যর্থতার কথাই বারবার বলেছেন শারোণ৷ প্যালেস্টাইনি জঙ্গী সংগঠনগুলির ওপর যথেষ্ট কঠিন এবং খড়্গহস্ত হচ্ছেন না আব্বাস, এমন অভিযোগ ইজরায়েলের তরফে দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে৷ বর্ত্তমানে গাজা হস্তান্তর পর্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পর ইজরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র, আব্বাসের ওপর প্যালেস্টাইনি জঙ্গীদের নিরস্ত্র করার জন্য চাপ আসতে শুরু করেছে সব মহল থেকেই৷ আব্বাস স্বয়ং যে এ বিষয়ে যত্ন নিচ্ছেন না একথাও বলা যাবে না৷ অতি সম্প্রতি গাজা হস্তান্তরপর্ব শেষ হয়ে যাবার পর আব্বাস সাফ বলেছেন, প্যালেস্টাইনের নিজস্ব সীমানার মধ্যে কোনোরকমের সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না৷ অথচ সমস্যা হলো, প্রেসিডেন্ট আব্বাসের নিজের সংগঠন ফাতা আন্দোলনের সদস্যরাই তাঁর নির্দেশ মানতে রাজি নয়৷ তাদেরকে বারবার অস্ত্রত্যাগ করতে বলা হলেও তারা তাদের নেতার কথা মানতে রাজি নয়৷

পাশাপাশি হামাস জঙ্গীরা গতকাল বুধবার প্যালেস্টাইনের মিশর সীমান্তের একটি অংশ বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ায় তা নিয়ে জোরদার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ মিশরীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী একটি সুড়ঙ্গপথ আবিষ্কার করেছে ওই সীমানা থেকে৷ যেখানে বিস্তর অস্ত্রশস্ত্রের সন্ধান মিলেছে৷ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত৷

সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়