হলিউড হার্টথ্রব টোনি কার্টিস চলে গেলেন
১ অক্টোবর ২০১০আমি প্রথম টোনি কার্টিসকে দেখি কস্যাক চীফ কিংবা টারাস বুলবা নামধারী একটি ফিল্মে৷ কস্যাক চীফ ইয়ুল ব্রাইনারের ছেলের ভূমিকায়৷ চোখে পড়েছিল কার্টিসের অসাধারণ সুন্দর চেহারা৷ মনে ধরেছিল তাঁর হাসি৷
বিলি ওয়াইল্ডারের সাম লাইক ইট হট একটি প্রখ্যাত কমেডি: জ্যাক লেমন, টোনি কার্টিস এবং মেরিলিন মনরোর ত্রহস্পর্শ৷ ১৯৫৯ সালের ছবি, যদিও আমি দেখেছি বহু পরে৷ মনে আছে, সেই প্রথম কার্টিসের কমিক ট্যালেন্টের পরিচয় পাই৷ অথচ কার্টিস কিন্তু সারা জীবন, সারাটা অভিনেতা জীবন, ঠিক ঐ টানাপোড়েনেই কাটিয়ে গেলেন: উনি চেয়েছিলেন মার্লন ব্র্যান্ডো, পল নিউম্যানের মতো সিরিয়াস রোল৷ যেন নিজের কমিক ট্যালেন্টটাই কোনোদিন ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেননি৷
বলতে কি, মেরিলিন মনরোর ক্ষেত্রেও তো তাই ঘটেছিল৷ টোনির মতো, তাঁর সুন্দর রূপও তাঁর শত্রু হয়ে দাঁড়ায়৷ টোনির মতো, তিনিও তাঁর আসল কমিক ট্যালেন্টটাকে কোনোদিন পুরোপুরি দেখাতে কিংবা কাজে লাগাতে পারেননি৷ টোনি কার্টিস আর মেরিলিন মনরোর অ্যাফেয়ার চলেছিল তিন বছর ধরে৷ আহা, তখন যদি দুজনে পরষ্পরের সঙ্গে একটু মন খুলে কথা বলতে পারতেন৷
কি গল্প করব টোনি কার্টিন সম্বন্ধে? সত্তরের দশকের শেষে জার্মানিতে এসে দেখলাম রজার মুর আর টোনি কার্টিসের সেই ‘‘দ্য প্রিটেন্ডার্স'' টিভি সিরিজ এখানেও দুর্ধর্ষ জনপ্রিয়৷ - নয়তো টোনি কার্টিস মানেই মহিলা সংক্রান্ত গল্প৷ বড়াই করতেন এক হাজার মহিলার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কের! ছ'বার বিয়ে করেছেন৷ সর্বশেষ স্ত্রীর সঙ্গে বয়সের তফাৎ ছিল ৫৩ বছরের৷
নিউ ইয়র্কের ব্রংক্স এলাকার এক দরিদ্র হাঙ্গেরিয়ান ইহুদি দর্জ্জির ছেলে হলিউড জয় করল৷ শুধু তাই নয়, তার কালো চুলের টেরী আর সযত্নে তোলা ভুরু কা'কে অনুপ্রাণিত করেছিল জানেন? এলভিস প্রেসলি'কে৷ অপরদিকে বাঁশি বাজাতে জানতেন টোনি কার্টিস৷ ছবি আঁকতেন৷ তাঁর আঁকা ছবি রয়েছে নিউ ইয়র্কের মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্টের স্থায়ী সংগ্রহে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম