হরতালে চট্টগ্রাম
২৫ এপ্রিল ২০১২বিএনপি নেতা এবং সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ'৷ তাঁকে ফিরে পেতে টানা তিনদিন হরতাল পালন করেছে বিএনপি৷ এছাড়া আরো কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দিয়ে রেখেছে বিরোধী দল৷ কিন্তু হরতালের ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছে ক্ষুদ্র পেশাজীবী, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ৷ চট্টগ্রামে হরতালের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান রফিকুল বাহার বলেন, ‘‘দেশে নিত্যপণ্যের প্রধান পাইকারি বাজার হচ্ছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে৷ এখানে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ কেনাবেচা হয় এবং এটার পরিমাণ কয়েকশত কোটি টাকা৷ হরতালকে কেন্দ্র করে কেনাবেচার ব্যাপারটি প্রায় বন্ধ বলা যায়৷''
হরতাল চলাকালে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস চালু থাকলেও দিনের বেলা বিভিন্ন গন্তব্যে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল৷ এছাড়া চট্টগ্রামে ব্যবসা বাণিজ্যেও অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়৷ ফলে কয়েকশত কোটি টাকার লেনদেন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ব্যবসায়ীদের, মনে করে বাহার৷ তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ দিনে কোন বাজারে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যে পরিমাণ কর্মযজ্ঞ পরিলক্ষিত হয়, হরতালের সময় সেটা একেবারেই নেই৷''
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং গুম, হত্যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক, সংশয়, দ্বিধা আছে, সেটা মানছেন রফিকুল বাহার৷ কিন্তু হরতাল নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, বলেন তিনি৷ তাঁর কথায়, ‘‘সাধারণ মানুষ এটাও মনে করে, একজন মাত্র ব্যক্তি এবং যিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাও সিলেটের সাবেক সাংসদ – তাঁকে কেন্দ্র করে টানা তিনদিনের হরতালের মাধ্যমে পনের কোটি মানুষকে জিম্মি করে রাখার ঘটনায় চট্টগ্রামের মানুষ যথেষ্ট শঙ্কিত বলে মনে হয়েছে৷''
সামগ্রিকভাবে চট্টগ্রামের হরতাল পরিস্থিতি সম্পর্কে বর্ষীয়ান এই সাংবাদিক বলেন, ‘‘দ্বিতীয় শহর বা সিলেটের সঙ্গে তুলনায় বলা যায় হরতালের সময় চট্টগ্রামে সহিংসতা খুবই কম ঘটেছে৷ পুলিশের সঙ্গে হরতালকারীদের কোথাও কোথাও সংঘর্ষ বাঁধলেও সেটি মাত্রা ছাড়িয়ে যায়নি৷ আটক বা গ্রেপ্তারের ঘটনাও তেমন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে নেই৷ ''
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন