‘হরতাল নয়, প্রয়োজন সংলাপ’
৩১ জানুয়ারি ২০১৩ঢাকা এবং চট্টগ্রামে আধা বেলা আর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা সহিংস হরতাল পালন করল জামায়াত-শিবির৷ এই হরতালকে সমর্থন করে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি৷ প্রসঙ্গত, আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় জামায়াতকে সমাবেশ করতে না দেয়ার প্রতিবাদেই এই হরতাল৷
হরতালে ঢাকার মিরপুর, তালতলা, খিলগা, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ি, ধানমন্ডি, ঢাকেশ্বরী মন্দির, মহাখালী এবং গুলশান এলাকায় মিছিল বের করেন জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীরা৷ এ সময় তারা পুলিশ ও পুলিশের গাড়িতে হামলা, যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দেয়৷ আর পুলিশও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে৷
পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরপত্তা দেয়ার দায়িত্ব তাদের৷
এদিকে, ঢাকায় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠন হরতাল বিরোধী মিছিল ও সমাবেশ করে৷ সেই সমাবেশ থেকে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া৷
অন্যদিকে, হরতালের কারণে ঢাকায় সাধারণ মানুষ পড়ে চরম বিপাকে৷ তাঁরা সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান৷
এছাড়া, ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন স্থানে হামলা এবং সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ বগুড়ায় হরতাল চলাকালে বিকেলে ছাত্র শিবির এবং ছাত্র লীগের মধ্যে সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন৷ তাঁরা হলেন হ্যাচারি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান এবং আবু রুহানী৷ বগুড়া জামায়াতের নেতারা নিহত দু’জনকে জামায়াত ও শিবিরের কর্মী দাবি করে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার বগুড়ায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছেন৷ পুলিশ জানায়, শহরের সাতমাথা এলাকায় সংঘর্ষের সময় তাঁরা ধারাল অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন৷
ওদিকে, যশোরের মনিরামপুর বাজারে সকালবেলায় জামাত-শিবির কর্মীরা হেলমেট পড়ে লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের একটি টহল দলের ওপর হামলা চালায়৷ এতে ছয়জন পুলিশ সদস্য গুরুতরভাবে আহত হন৷ আঘাত না পেলেও টহল দলের সদস্য কনস্টেবল জহুরুল হক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে জানায় পুলিশ৷