1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্দোনেশিয়াতেও নিষিদ্ধ নোয়া

২৬ মার্চ ২০১৪

এবার ইন্দোনেশিয়ায় নিষিদ্ধ হল হলিউডের চলচ্চিত্র ‘নোয়া’৷ মহান আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ বা নবীর চরিত্রে অভিনয়কারীর চেহারা প্রদর্শনের কারণে কাতার, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর ইন্দোনেশিয়াতে নিষিদ্ধ হলো এর প্রদর্শন৷

https://p.dw.com/p/1BVdf
Filmstill Noah
নোয়া ছবির একটি দৃশ্যছবি: Niko Tavernise/MMXIII Paramount Pictures Corporation and Regency Entertainment

নিউজল্যান্ডের অভিনেতা রাসেল ক্রো-কে এ মুভিতে নোয়া বা হযরত নূহ (আঃ) -র চরিত্রে দেখানো হয়েছে৷ এতে আরো অভিনয় করেছেন জেনিফার কনোলি এবং এমা ওয়াটসন৷ মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার সেন্সরবোর্ড জানিয়েছে, ইসলামিক মূল্যবোধে আঘাত করায় তারা ছবিটি প্রদর্শন করবেন না৷ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ইসলাম ধর্মাবলম্বীর বাস ইন্দোনেশিয়ায়৷ মুভিটি শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ায় মুক্তি দেয়ার কথা ছিল৷ ইসলামে নবীর চেহারা প্রদর্শন নিষিদ্ধ থাকায় ছবিটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ৷

ইন্দোনেশিয়ার সেন্সর বোর্ডের সদস্য জয়নুত তৌহিদ সাদী সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘‘ইসলামে কোনো নবী চরিত্রের প্রকাশ নিষিদ্ধ, অর্থাৎ তাঁর চেহারা প্রকাশ বা প্রচারের কোনো বিধান নেই৷ ছবিটি যে কেবল ইসলাম সম্প্রদায়কে আঘাত করেছে তা নয়, এর মাধ্যমে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদেরও আঘাত করা হয়েছে৷''

Symbolbild Film Noah mit Russell Crowe Verbot in islamischen Ländern
নিউজল্যান্ডের অভিনেতা রাসেল ক্রো-কে এ মুভিতে নোয়া বা হযরত নূহ (আঃ) -র চরিত্রে দেখানো হয়েছেছবি: picture-alliance/dpa

হযরত নূহ (আঃ) চলচ্চিত্রে ইসলামি শিক্ষার পরিপন্থি বিষয় বিদ্যমান থাকায় এর প্রতিবাদে বিবৃতি প্রদান করেছে মিশরের আল-আযহার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়৷ বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে আল্লাহর নবীগণ এবং মহানবী (সাঃ)-র সাহাবীদের ছবি প্রদর্শন করা হয় এমন শিল্পকর্ম নবী (আঃ) গণের মর্যাদা ও সম্মানের পরিপন্থি৷

রাসেল ক্রো-র চরিত্রায়ন সঠিক হয়নি বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু খ্রিষ্টান প্রতিষ্ঠানও৷ চলচ্চিত্রটির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তারা৷

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল রিলিজিয়াস ব্রডকাস্টার্স বডি যৌথভাবে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ছবির কাহিনি দর্শকদের বোঝাতে হলে বলতে হবে বাইবেল থেকে কাহিনি নিয়ে সেটাকে সিনেমায় রূপান্তর করা হয়েছে, বাইবেলের প্রতিটি লাইন মেনে কাহিনি লেখা হয়নি৷

শুক্রবারে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাওয়ার পর আগামী সপ্তাহে বেশ কয়েকটি দেশে মুক্তি পাবে চলচ্চিত্রটি৷

এদিকে বিভিন্ন ইসলামি দেশে এ চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে প্রচারণা শুরু হয়েছে৷ প্যারামাউন্ট পিকচার নিবেদিত নোয়া মুভিটির পরিচালক ড্যারেন অ্যারোনোফস্কি৷ ‘নোয়া' নবীর সময়কার ভয়াবহ বন্যাকে কেন্দ্র করে নির্মিত চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার হয় ২৮শে ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে৷

এপিবি/এসবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য