হংকং সীমান্তে এলো চীনা সামরিকবাহিনী
১৫ আগস্ট ২০১৯চীনের ‘পিপলস আর্মড পুলিশ'এর শতাধিক আধাসামরিক ট্যাঙ্ক ও ট্রাকসহ কয়েকশ সামরিক সদস্য বর্তমানে সেখানে রয়েছেন৷
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, এর সাথে রয়েছে দু'টি জলকামানও৷
প্রসঙ্গত, গত দশ সপ্তাহ ধরে হংকং এ চলছে সরকারবিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ৷ গণতন্ত্রের দাবিতে পথে নামা জনতা ইতিমধ্যে স্তব্ধ করেছে হংকংগামী বিমান চলাচলও৷
এর মধ্যেই চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে সামরিক মহড়ার খবর৷ টুইট করে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও৷
বিক্ষোভ সংযত করতে এর আগেও বেইজিং-এর পক্ষে জানানো হয়েছে যে, এই প্রতিবাদকে তারা দেখছে প্রায় সন্ত্রাসবাদের সমতুল্য হিসাবে৷ পরিস্থিতি সামলাতে সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনকেও কাজে লাগাতে পারে তারা৷
আসলেই কি থামাবে প্রতিবাদ?
সিঙ্গাপুরের নানইয়াং ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজির সামরিক বিশেষজ্ঞ জেমস চার বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘‘সেনাবাহিনী হংকং এ ঢুকলে যে চীনবিরোধী মনোভাব আরো সংগঠিত হবে, তা নিশ্চয়ই বেইজিংও জানে৷''
পরিচয় গোপন রেখে উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান যে, এই পদক্ষেপ আসলে শুধুই প্রচারণা৷ বাস্তবে চীনা বাহিনীর সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবাদ ঠেকানোর চিন্তা অবাস্তব, বলেন তিনি৷
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের পর থেকে হংকঙে গণতন্ত্রের প্রশ্নে সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে বর্তমানের এই বিক্ষোভ৷ প্রথমে প্রত্যর্পণ চুক্তিতে বদলের দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হলেও পরে তা হংকং এ সার্বিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে পরিণত হয়৷
এসএস/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)