1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরো এগিয়ে গেল ইউরোপ

৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

মহাকাশে ব্যস্ততা বাড়ছে৷ নিত্যনতুন স্যাটেলাইট বিভিন্ন কক্ষপথে কাজ শুরু করছে৷ ভবিষ্যতে আরো কম খরচে, আরো নির্ভরযোগ্যভাবে, আরো বেশি স্যাটেলাইট পাঠাতে নতুন ধরনের এক রকেটের ইঞ্জিন তৈরি করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3VW2y
Französisch-Guyana 1979 | Abschussrampe Ariane 1
ছবি: Getty Images/AFP/CNES

ইউরোপের নতুন রকেট ‘আরিয়ান ৬' ৬০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতা ছুঁতে পারবে৷ এর জন্য প্রযুক্তিবিদ ও ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্ভাবনী উৎপাদন প্রক্রিয়া কাজে লাগাতে হয়েছে৷ এই ট্যাংকগুলি তথাকথিত ‘ফ্রিকশন স্টার ওয়েল্ডিং' পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে৷ এভাবে প্রবল চাপের মধ্যে ঘর্ষণের মাধ্যমে অত্যন্ত মসৃণ ও টেকসইভাবে সবকিছু জোড়া দেওয়া যায়৷

৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছুঁলেই এই প্রক্রিয়া কাজে লাগানো যায়৷ এতকাল ‘আর্ক ওয়েল্ডিং' পদ্ধতিতে যে তাপমাত্রার প্রয়োজন হতো, এটি সে তুলনায় এক চতুর্থাংশ কম৷ এমটি এয়ারোস্পেসের রাল্ফ শ্লাইট বলেন, ‘‘আমরা এখানে যে নতুন উপাদান ব্যবহার করছি, তার মধ্যে লিথিয়ামের মাত্রা খুব বেশি৷ অথচ ‘আর্ক ওয়েল্ডিং' পদ্ধতিতে লিথিয়াম জোড়া দেওয়া সম্ভব নয়৷ কারণ, অনেক কম তাপমাত্রায় লিথিয়াম গলে যায় এবং অত্যন্ত দ্রুত বাষ্প হয়ে ওঠে৷''

রকেটের যে ইঞ্জিনে আগুন ধরবে না

ট্যাংকগুলি ইঞ্জিনের অংশ, যেটি রকেটের উপরের স্তরে বসানো থাকে৷ বহুগুণসম্পন্ন গবেষক ও ডিজাইনার লিওনার্দো দা ভিঞ্চির সম্মানে সেটির নাম রাখা হয়েছে ভিঞ্চি৷ বিস্ময়ের কারণ হলো এই যে এমন ইঞ্জিনে কখনো আগুন ধরা সম্ভব নয়৷ ফলে বিভিন্ন উচ্চতায় স্যাটেলাইট কক্ষপথে ছাড়া যায়৷ বিভিন্ন মিশনে নতুন এই রকেট ব্যবহার করা হবে৷

অদূর ভবিষ্যতে স্যাটেলাইটগুলির মধ্যে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ এভাবে গোটা পৃথিবী জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা নিশ্চিত করা যাবে৷ পুনর্ব্যবহারযোগ্য ভিঞ্চি ইঞ্জিনের দৌলতে ঝাঁকের মধ্যে সঠিক অবস্থানে স্যাটেলাইট ছাড়া যাবে৷ তার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এখনই তৈরি করা হচ্ছে৷ যেমন এক অ্যাডাপ্টার৷ এই কাঠামো এক ডজনেরও বেশি ছোট আকারের স্যাটেলাইট ধারণ করে মহাকাশে নির্দিষ্ট অবস্থানে ছেড়ে দিতে পারবে৷ আরিয়ান রকেট উৎক্ষেপণের সময় অক্সিলারি রকেট প্রয়োজনীয় ধাক্কা নিশ্চিত করে৷

এর আগে কখনো এমন প্লান্ট দেখা যায় নি৷ সেখানে হালকা কার্বন ফাইবার উপাদান দিয়ে অক্সিলারি রকেট তৈরি করা হচ্ছে৷ বর্তমান রকেটের মধ্যে সেই অংশ ধাতু দিয়ে তৈরি৷ এই উপাদানগুলিকে প্রচণ্ড মাত্রার চাপ সহ্য করতে হয়৷ তার মধ্যে কঠিন জ্বালানি ভরা হয়৷ সেটি জ্বালানো হলে ভিতরে অভাবনীয় মাত্রার উত্তাপ ও চাপ সৃষ্টি হয়৷

নতুন রকেট এখনো উৎক্ষেপণ করা হয় নি৷ তা সত্ত্বেও ইঞ্জিনিয়াররা সেটির আরও উন্নতির কাজ করছেন৷ ‘আরিয়ান ৬' আরও হালকা হওয়া সহজে উৎক্ষেপণ করা যাবে৷ সেই লক্ষ্যে ইঞ্জিনিয়াররা ২০২৫ সাল পর্যন্ত নতুন এক আপার স্টেজ তৈরি করতে চান৷ আরিয়ানস্পেস সংস্থাক কর্ণধার স্টেফান ইসরায়েল বলেন, ‘‘আমরা সেটিকে ‘ব্ল্যাক আপার স্টেজ' নাম দিয়েছি, কারণ সেটি কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি হবে৷ সেটি ধাতুর তুলনায় অনেক হালকা৷ ফলে আমরা দুই টন পর্যন্ত বাড়তি ভার মহাকাশে পাঠাতে পারবো৷''

এমন ইঞ্জিন তৈরি করতে দেড় বছর সময় লাগে৷ থ্রিডি প্রিন্টিং-এর সাহায্যে সেই সময় মাত্র কয়েক সপ্তাহে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে৷ সেইসঙ্গে ব্যয়ভারও এক-দশমাংশ কমে যাবে৷ ২০১৮ সালে জার্মান এয়ারোস্পেস সেন্টারে প্রিন্ট করা ইঞ্জিনের প্রোটোটাইপ পরীক্ষা করা হয়েছে৷ ভবিষ্যতের ইঞ্জিন উড়ালের পর আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে এবং পরে সেটি আবার ব্যবহার করা যাবে৷ মোট পাঁচ বার সেই রকেট কাজে লাগানো যাবে৷

কর্নেলিয়া বরমান/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য