স্মৃতিতে বার্লিন দেয়াল
বার্লিন দেয়াল দিয়ে দু’ভাগ করা হয়েছিল জার্মানিকে৷ প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পর ১৯৮৯ সালে ভেঙে ফেলা হলেও এখনো রয়ে গেছে কিছু স্মৃতি৷
স্মৃতির দেয়াল
৩০ বছর আগে ভেঙে ফেলা হয়েছিল বার্লিন দেয়াল৷ কিন্তু বার্লিন শহরের সবুজে ঘেরা এ রাস্তাটি মনে করিয়ে দেয় বার্লিন দেয়ালের স্মৃতি৷
বার্লিন দেয়াল জাদুঘর
বার্লিন দেয়ালের স্মৃতি জমা করে রেখেছে এ জাদুঘরটি৷ বার্লিন শহরের বেরনাওয়ার স্ট্রাসেতে স্থাপিত এ জাদুঘরটিতে বার্লিন দেয়াল কিভাবে স্থাপিত হয়েছিল এবং এটি কেমন করে দাঁড়িয়েছিল তা দেখা যায়৷
পাথরের খোয়া
দেয়ালটি ভেঙে ফেলা হলেও বার্লিন শহরের কেন্দ্রীয় সড়কে এখনো রয়ে গেছে পাথরের খোয়ার এ লম্বা লাইনটি, যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল বার্লিন দেয়াল৷
ব্রান্ডেনবুর্গ গেট
বার্লিন দেয়াল তৈরির পর এ গেটটির অবস্থান হয়েছিল ‘নো-ম্যান্স ল্যান্ডে’৷ এটি না ছিল পূর্ব জার্মানিতে, না পশ্চিম জার্মানিতে৷
বিখ্যাত ‘চেকপয়েন্ট চার্লি’
এ চেক পয়েন্টটি ছিল পূর্ব জার্মানি থেকে পশ্চিম জার্মানিতে যাওয়ার পথ৷ স্মৃতি বিজড়িত এ চেক পয়েন্টটির সামনে এসে একটি ছবি তুলতে ভোলেন না পর্যটকরা৷
ওয়াচ টাওয়ার
এ ওয়াচ টাওয়ারগুলোতে দাঁড়িয়ে ‘অনুপ্রবেশ’ ঠেকানোর চেষ্টা করতেন রক্ষীরা৷ এ রকম প্রায় ৩০০ টাওয়ার ছিল বার্লিন দেয়াল ঘিরে, যার মধ্যে অল্প কয়েকটি এখন টিকে আছে৷
সর্ববৃহৎ গ্যালারি
বার্লিন দেয়ালের ধ্বংসাবশেষের গায়ে প্রায় এক দশমিক তিন কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন ধরনের ছবি এঁকেছেন শিল্পীরা৷ এটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত গ্যালারি৷
ইতিহাসের সাক্ষী এ সেতুটি
শহরের পস্টডামে যাওয়ার পথে পড়ে এ সেতুটি৷ শীতল যুদ্ধের সময় এ সেতুটি দিয়েই বন্দি বিনিময় করা হতো৷ স্টিফেন স্পিলবার্গের জনপ্রিয় সিনেমা ‘ব্রিজ অব স্পাইস’-এ দেখানো হয়েছিল এ সেতুটি৷
চেরি গাছের সুরম্য রাস্তা
শহরে ঢোকার পথে চেরি গাছে ঘেরা এ রাস্তাটি এপ্রিল মাসের দিকে সজীব হয়ে উঠে, কেননা গাছগুলোতে তখন ফুল ফুটতে থাকে৷ জার্মানদের সাথে বন্ধুত্বের চিহ্ন হিসেবে প্রায় ১০ হাজার চেরি গাছ দিয়েছিল জাপান সরকার৷