স্মার্টফোনের নেশায় আসক্ত, সমাধান খুঁজছেন?
অন্যান্য দেশের মতো জার্মানিতেও মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এনেছে মুঠোফোন৷ আজ এর নেশায় আসক্ত অসংখ্য তরুণ-করুণী৷ এই নেশা কতটা মারাত্বক? এক্ষেত্রে করণীয়ই বা কী? এ সব প্রশ্নের উত্তর দেখে নিন ছবিঘরে৷
‘মাল্টিটাস্কিং’ শুধু কথার কথা
জার্মানিতে টেলিভিশন দেখার সময় শতকরা ৮৫ জনই নাকি স্মার্টর্ফোন, ট্যাবলেট বা আইপ্যাড পাশে রাখেন৷ ‘‘আসলে যে কোনো মানুষ শুধু একটি বিষয়েই পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারে৷ মানে ‘মাল্টিটাস্কিং’ শুধু কথার কথা৷’’ জানান জার্মান মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. একার্ট ভন হির্শহাউজেন৷
স্মার্টফোনের নেশা কতটা ভয়ংকর?
যাঁরা মোবাইল দেখতে দেখতে রাস্তায় হাঁটেন, তাঁদের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা অনেক বেশি৷ তাই তো জার্মানির কোলন শহরের বেশ কিছু রাস্তায় উজ্জ্বল সব লাইট বসানো হয়েছে, শুধুমাত্র মাথা নীচু করে হাঁটা স্মার্টফোনে অ্যাডিক্ট তরুণ প্রজন্মের জন্য৷
হাত থেকে ফোন নামিয়ে রাখতে এত কষ্ট কেন?
মানুষ সামাজিক জীব, তাই কিছু মিস করা বা হারিয়ে যাওয়ার ভয় থেকেই এমনটা হয়ত হয়ে থাকে৷ জার্মানিতে ১৬-১৭ বছরের মেয়েরা দিনে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ বা বিভিন্ন ‘অ্যাপ’ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন৷ সমীক্ষা বলছে, মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা একটু কম তাকিয়ে থাকে স্মার্টফোনের দিকে!
স্ক্রিন টাচ বা মোবাইলের তথ্য অনেকটা চিপস খাওয়ার মতো
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা দিনে ৫০০০ বার স্মার্টফোনের স্ক্রিন টাচ করেন, জানান ডা. একার্ট ভন হির্শহাউজেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সকলেই জানেন চিপস স্বাস্থ্যকর খাবার নয়, তা সত্ত্বেও একবার খাওয়া শুরু করলে থামানো যায় না৷ স্ক্রিনের তথ্যগুলোও তেমনি মস্তিষ্কের জন্য চিপসের মতো, যা নিয়মিত দেখলে যে কেউ অসুস্থ হতে পারেন৷’’
নেশা বোঝা যায় কী উপায়ে?
প্রথমেই ঠিক করে নিতে হবে যে কতক্ষণ নিজেকে সময় দেবেন এবং কতটা সময় পরিবারের জন্য বরাদ্দ করবেন৷ অর্থাৎ সে সময়টুকু মোবাইলটি দূরে রাখতে হবে৷ স্মার্টফোন ‘অফ’ করার পর যাঁদের নার্ভাসনেস, মাথা ব্যথা কিংবা চিন্তাগুলো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয়, তাঁদের বুঝতে হবে যে তাঁরা স্মার্টফোনের নেশায় আসক্ত৷
চিন্তা এবং অনুভূতি বাঁধাগ্রস্ত হয়
কারো সাথে সরাসরি আলাপ করার সময় স্মার্টফোন শুধু বন্ধই নয়, চোখের আড়াল করে রাখুন৷ ফোনটি সর্বক্ষণ টেবিলের ওপর থাকলে স্বাভাবিকভাবেই সেদিকে চোখ চলে যায়৷ তখন যে শুধু আলাপের গভিরতা হারিয়ে যায়, তা নয়, মানুষের চিন্তাকেও অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয় মুঠোফোন৷ তাই সাবধান!