স্বীকৃতি পেলে কাজের শক্তি বাড়ে - বিবি রাসেল
২৫ অক্টোবর ২০১১‘সিল্কেন সিনার্জি’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন সোনিয়া কিরপালানি৷ নিজেকে নিয়ে ছবি পুরস্কৃত হওয়ায় বাংলাদেশের এই সুপার মডেল বলেন, ‘‘কোন কাজে স্বীকৃতি পেলে শক্তি বাড়ে৷ আমি এমন কাজের জন্য সোনিয়াকে ধন্যবাদ জানাই৷ ইটালির বায়োগ্রাফি ফিল্ম উৎসবে আমাকেই মাদ্রিনা অর্থাৎ মূল ব্যক্তিত্ব হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল৷ আমাকে দিয়েই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়৷ এই ছবিটিতে বাংলাদেশের ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে৷ তাই আমি খুবই খুশি৷'' শিল্প ও নকশার মাধ্যমে ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ, সৃজনশীলতার প্রসার, গ্রামের মানুষের কর্মসংস্থান, নারীশক্তিকে জাগিয়ে তোলার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন বিবি রাসেল৷
এর আগে গুয়াঙঝু ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও পুরস্কার জিতেছিল তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্রটি৷ এতে বিবি রাসেলের জীবনের অসাধারণ গল্প তুলে ধরা হয়েছে৷ এই মহান শিল্পী বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন অ্যামেরিকা, ডেনমার্ক এবং ইউরোপের বহু দেশে তাঁর সৃষ্টিশীল কাজের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন৷
এর আগে নিজের সৃষ্টিকর্মের জন্য ১৯৯৭ সালে ‘এল ম্যাগাজিনে'র বিবেচনায় বর্ষসেরা নারী হিসেবে মনোনীত হন বিবি রাসেল৷ ১৯৯৯ সালে লন্ডন আর্ট ইউনিভার্সিটির কাছ থেকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ পান বিবি রাসেল৷ একই বছর ইউনেস্কো তাঁকে ‘ডিজাইনার ফর ডেভেলপমেন্ট' খেতাব দেয়৷ ২০০১ সালে ইউনেস্কো তাঁকে ‘শান্তির শিল্পী' পদক দেয়৷
২০০৪ সালে স্পেনের জাতিসংঘ সমিতির শান্তি পুরস্কার পান তিনি৷ ২০০৮ সালে জাতিসংঘ এইডস কর্মসূচি ইউএনএইডস তাঁকে শুভেচ্ছা দূত মনোনীত করেন৷ চলতি বছরে নিউইয়র্ক থিওলোজিক্যাল সেমিনারি থেকে ‘আরবান অ্যাঞ্জেল অ্যাওয়ার্ড ২০১১' এবং জার্মানির ভিশন সামিট থেকে ‘ভিশন অ্যাওয়ার্ড ২০১১' পান বিবি রাসেল৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন