ঝুঁকি হয়ে উঠছে ভুয়া ডিপ্লোমা
৩০ জানুয়ারি ২০১৯খুব সহজেই বসনিয়া-হ্যারৎসেগোভিনায় নার্সিং ডিপ্লোমার সনদ মেলে৷ এর মধ্যে অধিকাংশই হয় ভুয়া সনদ৷ এদিকে দক্ষ নার্সের অভাব থাকার কারণে জার্মানির স্বাস্থ্যখাত বলতে গেলে পুরোটাই এখন বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল৷ সেই সুযোগ নিচ্ছে বসনিয়ার ভুয়া সনদধারীরা৷
সুরনাল ইনফোর প্রতিবেদক আজরা ওমেরোভিক মাত্র ১৭ দিনে নার্সিং ডিপ্লোমার সনদ জোগাড় করেন প্রতিবেদন তৈরির উদ্দেশ্যে৷
আজরা ওমেরোভিক ও সাংবাদিক আভদো আভদিচ যৌ্থভাবে এই প্রতিবেদন তৈরি করেন৷
আজরা পুরো ঘটনা বর্ণনা করেছেন একটি ভিডিওতে৷ তিনি বলেন, একজন মধ্যস্থতাকারীর কাছ থেকে এক হাজার ২৫০ ইউরোর বিনিময়ে তিনি এই সনদটি পান৷ টেলিফোনে সেই মধ্যস্থতাকারীকে তিনি জানান, জার্মানিতে নার্সিংয়ের কাজের একটি প্রস্তাব পেয়েছেন, কিন্তু সনদ নেই৷ তিনি এ-ও উল্লেখ করেন, জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে তাঁর এই সনদ প্রয়োজন৷ পরে টাকা পরিশোধ করার পর একটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ পান আজরা৷
জার্মানির শরণার্থী ও অভিবাসী বিষয়ক দফতরের হিসাব-মতে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি বসনিয়ার অধিবাসী জার্মানিতে এসেছে৷ তাঁদের একটি বিশাল অংশ নার্সিং পেশার সঙ্গে জড়িত৷ বিশেষ করে এই খাতটিতেই লোক সংকট রয়েছে এবং বসনিয়ার অভিবাসীরা তার সুযোগ নিচ্ছেন৷
জার্মানিতে যে কোনো ক্ষেত্রে কাজ পেতে হলে এর যথাযথ সনদ প্রয়োজন এবং সেগুলোই বিক্রি হচ্ছে বসনিয়ায়৷
সাংবাদিক আভদো আভদিচ ডয়েচে ভেলেকে বলেন, যেসব স্কুল এসব ভুয়া সনদ দিচ্ছে ,সেগুলোকে অডিটের আওতায় আনা জরুরি৷
উল্লেখ্য, ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে সেখানকার অধিবাসীদের অনেকেরই সনদ ও প্রয়োজনীয় কাগজ হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে যায়৷ সেই সময় দেশটিতে জাল বা ভুয়া সনদ অথবা নকল সনদ তৈরির ব্যবসা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে৷
রেবেকা স্টাউডেনমায়ার/ এফএ