স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে ভারত ও বাংলাদেশ
১৫ জুন ২০১২ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলিকে সরাসরি রাজনৈতিক তত্ত্বাবধানে আনার জন্য দু'দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বার্ষিক বৈঠককে প্রাতিষ্ঠানিক স্তরে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উভয় দেশ৷ এর আওতায় দু'দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয় বছরে অন্তত একবার বা তারো বেশিবার মিলিত হবেন, যাতে দু'দেশে যা ঘটছে বা যা ঘটা উচিত বা উচিত নয়, তা রাজনৈতিক তদারকির অধীনে আনা যায়৷ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি সফরে গিয়ে নতুন দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনার তারিক করিম সংবাদ মাধ্যমের কাছে একথা জানান৷
প্রতিবেশি দেশ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির প্রেক্ষিতে দু'দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ৷ গত ৪০ বছরে দু'দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা একবারও বৈঠকে মিলিত হননি৷ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এবং বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত একই সূত্রে বাঁধা, পৃথক করা যায়না৷ ‘‘এক দেশ উন্নতি করলে অন্যদেশ উপকৃত হবে -- এই অভিন্ন লক্ষ্য চিহ্নিত করেই আমরা অগ্রসর হচ্ছি'', এমনটাই বললেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার তারিক করিম৷
বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গি কার্যকলাপ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশনার বলেন, ভারতের স্বার্থের পরিপন্থি কোনো তৎপরতা বাংলাদেশ সরকার বরদাস্ত করেনি এবং করবেনা৷ বারংবার একই কথা তোলা ঠিক নয়৷ বরং দৃষ্টি দিতে হবে ইতিবাচক দিকে৷ অগ্রাধিকার দিতে হবে অর্থনৈতিক বিকাশ ও দারিদ্র মোচনের দিকে৷
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা, আরো ৬টি সীমান্ত হাট খোলার দাবি জানান৷ মেঘালয়ে বর্তমানে দুটি সীমান্ত হাট আছে৷ একটি পূর্ব খাসি হিলস-এ অন্যটি পশ্চিম গারো হিলস জেলায়৷ সীমান্ত হাট সফল হওয়ায়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম সরকারও চারটি সীমান্ত হাট খোলার অনুরোধ করেছে, জানান বাংলাদেশ হাইকমিশনার৷
বাংলাদেশের অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরে তারিক করিম বলেন, যে-সব কর্মসূচি বাস্তবসম্মত এবং দ্রুত রূপায়ণযোগ্য বাংলাদেশ সেগুলিকেই অগ্রাধিকার দিতে চায়৷ সরকার এক অনুকুল বাতাবরণ তৈরি করে দিতে পারে মাত্র, কিন্ত সেই অনুকুল পরিবেশকে কাজে লাগাবার দায়িত্ব দু'দেশের ব্যবসায়ীদের৷ তাঁরাই সরকারের অগ্রাধিকারের বাস্তব রূপ দেবে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ