1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্পেনে সন্ত্রাসী হামলা, আইএস-এর দায় স্বীকার

১৮ আগস্ট ২০১৭

প্রথমে বার্সেলোনা, তারপর উপকূলবর্তী কামব্রিলস এবং আলকানার শহর৷ পর পর তিনটি সন্ত্রাসী হামলার মুখে পড়লো স্পেনের কাটালুনিয়া রাজ্য৷ বার্সেলোনা শহরে হামলার দায় স্বীকার করেছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস৷

https://p.dw.com/p/2iRKo
Spanien Polizeipräsenz am Tag nach dem Terroranschlag in Barcelona
ছবি: Reuters/S. Perez

বৃহস্পতিবার বিকেলে বার্সেলোনা শহরের এক ব্যস্ত এলাকায় দ্রুত গতিতে একটি ভ্যান চালিয়ে পথচারীদের পিষে দেয় এক আততায়ী৷ ফলে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত ও প্রায় ১০০ জন আহত হয়৷ জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী বার্সেলোনায় আহতদের মধ্যে ১৩ জন জার্মান নাগরিক রয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর৷

হামলাকারী পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়৷ পুলিশ তার খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে৷ এর মধ্যে চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাদের একজন মরক্কোর নাগরিক, দ্বিতীয় জন স্পেনের নাগরিক৷ আটক মরক্কোর নাগরিক দ্রিস উকাবিরের ভাই মুসা-র খোঁজ চলছে৷ তবে সেই ভ্যান চালক ছিল কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷

তারপর বার্সেলোনা শহর থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে কামব্রিলস শহরে দ্বিতীয় হামলার খবর পাওয়া যায়৷ সেখানেও হামলাকারীরা পথচারীদের পিষে ফেলার চেষ্টা করেছিলো বলে জানিয়েছে কাটালান পুলিশ৷ তবে সেই কাজে তারা সফল হতে পারে নি৷ সেই ঘটনায় এক পুলিশ কর্মী ও ছ’জন পথচারী আহত হয়েছে৷ পুলিশ পাঁচজন হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে৷ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী পুলিশের নির্দেষ অমান্য করে হামলাকারীরা গাড়ি নিয়ে পালাবার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের পেছনে ধাওয়া করে৷ তাদের গাড়ি উলটে যাওয়ার পর তারা পালাবার চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে তারা নিহত হয়৷ হামলাকারীদের শরীরে বিস্ফোরক ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল৷ পরে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে কিছু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷

বার্সেলোনা শহর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে আলকানার শহরে এক বিস্ফোরণে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে ও একটি বাড়ি ধসে পড়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি ঘটনার মধ্যেই যোগসূত্র রয়েছে৷ সম্ভবত ৮ থেকে ১২ জনের এক সেল এই হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল বলে তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন৷

আইএস তাদের ঘনিষ্ঠ আমাক সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে বার্সোলোনায় হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ তাদের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের জবাবে আইএস ‘সৈন্যরা’ এই হামলা চালিয়েছে৷ উল্লেখ্য, স্পেনের কয়েক'শ সৈন্য ইরাকে সক্রিয় থাকলেও তারা স্থলবাহিনীর অভিযানে অংশ নিচ্ছে না৷

আইএস-এর দাবি সত্য প্রমাণিত হলে গত ১৩ মাসে ইউরোপে ট্রাক বা বড় গাড়ি চালিয়ে হামলায় একশ’ জনেরও বেশি নিহত হলো৷ নিস, বার্লিন, লন্ডন ও স্টকহোম শহরের পর এবার বার্সেলোনা হামলার শিকার হলো৷

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাখই নিজের ছুটি বাতিল করে বার্সেলোনায় পৌঁছেছেন৷ তিনি গোটা দেশে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন৷ তিনি বলেন, এমন ‘জিহাদি’ হামলার মুখে স্পেন নতি স্বীকার করবে না৷

স্পেনে সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে বিশ্বনেতারা হামলার নিন্দা করে স্পেনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে কোনো ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)